প্রস্তুতি: জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের ভিতরের কাজ চলছে জোরকদমে। ছবি: সন্দীপ পাল
সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে চলা শুনানির দিকে তাকিয়ে রয়েছে জলপাইগুড়ি ও উত্তরবঙ্গের অন্য জেলার বাসিন্দারা।
এর মধ্যে সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধনের প্রক্রিয়ার পদ্ধতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। তা নিয়েই হাইকোর্টে আজ, বৃহস্পতিবার শুনানি রয়েছে। ৪ অগস্ট কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ১১ জনের প্রতিনিধি দল জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের পরিকাঠামো পরিদর্শন করে গিয়েছেন। পরিকাঠামো দেখে প্রতিনিধি দল সন্তুষ্ট কিনা সেই রিপোর্টও এ দিন হাইকোর্টে পেশ করা হবে বলে আইনজীবীদের একটি অংশ জানিয়েছেন। হাইকোর্ট ও প্রশাসনের মনোভাব কি তা আজকের মামলার শুনানিতে জানানোর কথা রয়েছে। জলপাইগুড়িতে পরিদর্শনের পরে গত সোমবার কলকাতায় হাইকোর্টের ফুলকোর্টের মিটিং হয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রায় তিন ঘণ্টা মিটিং চলেছে। গত কাল আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের সঙ্গে হাইকোর্ট প্রশাসনের রাত পর্যন্ত আলোচনা চলেছে। কী হতে চলেছে তার ইঙ্গিত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের এজলাসের শুনানিতে মিলতে পারে বলে দাবি আইনজীবীদের একাংশের।
সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও, হাত গুটিয়ে নেই রাজ্য সরকারও। গত মঙ্গলবার রাজ্যের থেকে নির্দেশ পাঠিয়ে ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার দুই অফিসারকে সার্কিট বেঞ্চের দায়িত্বে পাঠানো হয়েছে। চার জন ডেপুটি রেজিস্ট্রারের জন্য বাড়ি ভাড়া খুঁজছে প্রশসান। সার্কিট বেঞ্চের দায়িত্বে থাকবেন যে রেজিস্ট্রার তাঁর জন্যও বাংলোও খুঁজছে জেলা প্রশাসন। হাইকোর্ট সূত্রের খবর, জলপাগুড়িতে অস্থায়ী আদালত ভবনের গ্রন্থাগারে রাখার জন্য বই কেনা হয়ে গিয়েছে। কোন কর্মীদের জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের কাজে পাঠানো হবে তার তালিকা করে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের নির্দেশও ধরানো হয়েছে। যদিও সরকারি ভাবে কেউ কোনও মন্তব্য করছেন না।
রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি শুধু জানান, বেঞ্চের উদ্বোধন নিয়ে তিনি আশাবাদী। জেলা প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহে আইনমন্ত্রী জলপাইগুড়িতে আসছেন। প্রশাসনের তরফে এই তৎপরতাই বেঞ্চ নিয়ে আশায় রেখেছে জেলাবাসীকে। এ দিন রাজ্য সরকারের বিচারবিভাগের এক আমলা বলেন, “১৭ অগস্ট জলপাইগুড়িতে বেঞ্চ উদ্বোধন নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা কাটেনি। হাইকোর্টের বেঞ্চ উদ্বোধন অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। এ নিয়ে কোনও মন্তব্য হাইকোর্ট ভাল চোখে নিচ্ছে না।” পূর্ত দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ১০ অগস্টের মধ্যে আদালত ভবন সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত হয়ে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy