সন্তোষ সেনগুপ্ত। নিজস্ব চিত্র
খাদ্য সরবরাহ দফতরের ইন্সপেক্টর পদে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে ভিড় বাসে উঠতে গিয়ে পড়ে মৃত্যু হল এক পরীক্ষার্থীর। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের ইংরেজবাজার শহরের ফ্লাইওভারে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত পরীক্ষার্থীর নাম সন্তোষ সেনগুপ্ত (৩৯)। বাড়ি ইংরেজবাজার ব্লকের কোতোয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের নেতাজি পাড়া গ্রামে। একটি বেসরকারি স্কুলে কম্পিউটারের শিক্ষক ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ছিল খাদ্য সরবরাহ দফতরের ইন্সপেক্টরের পরীক্ষা ছিল। কোতোয়ালির সন্তোষের পরীক্ষার সিট পড়েছিল মিলকি সংলগ্ন খাসখোল এলাকার একটি স্কুলে। এদিন বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য ইংরেজবাজার শহরের রথবাড়িতে ফ্লাইওভার থেকে সন্তোষ মানিকচকগামী একটি বেসরকারি বাসে উঠতে যান। সেই বাসে প্রচণ্ড ভিড় ছিল। তিনি ওই ভিড়ের মধ্যেই বাসে ওঠার চেষ্টা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সন্তোষ ওই ভিড়েই বাসের দরজার কাছে কার্যত ঝুলছিলেন। সে সময়ে বাস চলতে শুরু করলে ওই ভিড়ের ধাক্কা খেয়ে চলন্ত বাস থেকে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। ছিটকে গিয়ে ফ্লাইওভারের পাকা রেলিংয়ে ধাক্কা খান তিনি। সে সময় তিনি মাথায় গুরুতর চোট পান। এদিকে বেসরকারি বাসটি মানিকচকের দিকে চলে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাকে হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মারা যান। এক প্রত্যক্ষদর্শী সুকুমার রায় বলেন, ওই ব্যাক্তির সঙ্গে পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড ও আধার কার্ড ছিল। সেটা দেখেই পরিচয় জানা যায়।
এদিকে প্রশাসনিক সূত্রেই জানা গিয়েছে, ফ্লাইওভারের উপর দাঁড়িয়ে থেকে বাসের যাত্রী ওঠানামায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অভিযোগ, সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সেই কারবার চলছেই। বাসগুলি রোজই ফ্লাইওভারের উপর দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রী তোলে। ম্যাজিক ভ্যানগুলিও যাত্রী তোলে। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ নির্বিকার। ট্রাফিক পুলিশের এক জেলা কর্তা বলেন, ‘‘ফ্লাইওভারের উপর নজরদারি বরাবরই রয়েছে। এদিনের ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy