কোচবিহারে তৃণমূল নেতা অমর রায় খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু তার পরেও পুলিশি তদন্তের উপর সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারছেন না মৃতের বাবা মহিন রায়। তিনি বললেন, ‘‘পুলিশ আসল অপরাধীকে আড়াল করতে আত্মীয়দের নিয়ে টানাটানি করছে। পুলিশ যদি দ্রুত আসল অপরাধীকে ধরতে না পারে, আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হব।’’
মহিনের অভিযোগ, পুলিশ যাঁদের গ্রেফতার করেছে, তাঁরা টাকার বিনিময়ে খুন করেছেন। কিন্তু কে খুন করাল, পুলিশ তাঁকে ধরতে পারছে না। পুলিশ চাইলে অপরাধীকে যে কোনও জায়গা থেকেই ধরতে পারে। পুলিশ সঠিক ভাবে কাজ করছে না বলেই তাঁর অভিযোগ।
গত ৯ অগস্ট তৃণমূলের ডাউয়াগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের ছেলে, দলীয় নেতা অমর কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের ডোডেয়ার হাটে মাংস কিনতে যান। সেই সময় তাঁকে বরাবাজারে দুষ্কৃতীরা গুলি করে। ঘটনাস্থলে অমরের মৃত্যু হয়। দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হন অমরের গাড়িচালক। ঘটনার তদন্তে নেমে পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিশ প্রথমে কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের সিদ্ধেশ্বরী এলাকার এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। পরে আরও চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। যে বাইক নিয়ে ঘটনা ঘটানো হয়েছিল, সেই বাইকটিও পুলিশ আটক করে। উদ্ধার হয় দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র।
অমরের বাবা মহিন বলেন, ‘‘দু’-একদিনের মধ্যে পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করব। পুলিশ আসল অপরাধীকে গ্রেফতার করতে না পারলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাব। মুখ্যমন্ত্রীও যদি সহযোগিতা না করেন, তা হলে আমি অন্য চিন্তাভাবনা করব।’’ কিন্তু অন্য চিন্তাভাবনা বলতে ঠিক কী বুঝিয়েছেন, তা অবশ্য মহিন স্পষ্ট করেননি। পরিবার সূত্রে খবর, তিনি সিবিআই তদন্ত চাইতে পারেন।