ছবি: সংগৃহীত।
আজব আগুনের আতঙ্ক ধূপগুড়ি শহরের এক কিলোমিটার দূরে মাগুরমারির পাঁচটি বাড়িতে। গত রবিবার আর সোমবার দিনরাতে প্রায় ১৭ বার ওই বাড়িগুলিতে আগুন আগে বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে ধূপগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আগুনের উৎস খুঁজতে এলাকায় গিয়েছিলেন পুলিশ ও দমকল।
সোমবার বেলা একটা নাগাদ প্রথমে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যায় গ্রামের বাসিন্দা জব্বর আলির ঘরে। প্রতিবেশীরাই আগুন নেভায়। সেই আগুন নেভাতে না নেভাতেই আগুন লাগে ৫০ মিটার দূরে আনসার আলির বাড়ি। সেখানেও ছুটে গিয়ে আগুন নেভান গ্রামের মানুষ। কিছুক্ষণ পর দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যায় ইদ্রিশ আলির বাড়ির বাইরে খড়ের গাদায়। খবর পেয়ে ধূপগুড়ি থেকে দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তার আগেই অবশ্য প্রতিবেশীরা আগুন নিভিয়ে ফেলে। সন্ধ্যা ও রাতে আগুন লাগে নুর আলম ও আমীর হোসেন নামে দুই বাসিন্দার ঘরে।
জানা গিয়েছে রবিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত কিছুক্ষন পর পর পাঁচটি বাড়িতে ১১ বার আগুন লাগে। সোমবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। প্রতিটি বাড়ি ১৫ মিটার থেকে ৫০ মিটার দূর দূর। আজব আগুন ঘিরে আতঙ্কিত বাসিন্দারা। পুলিশ ও দমকলও ছুটে যায় ওই এলাকায়। তারা জানায়, আগুন লেগে পুড়েছে বিছানা, জামা-কাপড়, ঘরের বেড়ার কিছুটা অংশ, খড়ের গাদা। কিন্তু, আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও বোঝা
যাচ্ছে না।
ধূপগুড়ি থানার আই সি সঞ্জয় দত্ত বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। কিভাবে আগুন লাগছে তা পরিষ্কার করে বোঝা যাচ্ছে না। তবে, আগুন তো কেউ নিশ্চয় লাগিয়ে দিচ্ছে। যা কেউ টের পাচ্ছে না। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর নতুন করে কোথাও আগুন লাগে নি। আমরা বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেব। ” আগুন লাগার কারণ নিয়ে ধন্দে ধূপগুড়ির দমকল কর্মীরাও।
জব্বার আলির ছেলে নুর আলি বলেন, “ যে ভাবে একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগছে তা দেখে পরিবারের সবাই আতঙ্কে আছি। আগুন লাগার কারণ জানার জন্য থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। রবিবার আমি যখন থানায় অভিযোগ জানাতে এসেছি তখনও বাড়ি থেকে ফোন পেয়েছি ফের আগুন লেগেছে। আমাদের পাঁচ শরিকের বাড়িতে দু’দিনে ১৭ বার আগুন লেগে জামা-কাপড়, বিছানা পুড়ে গিয়েছে। আগুনের আতঙ্কে বাড়িতে রান্না খাওয়া সব বন্ধ করে দিয়েছি। তার পরেও আগুন লাগছে। যদি কোন বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্য এসে এই আগুনের উৎস খুঁজে আগুন লাগা বন্ধ করতে পারে তাহলে
কৃতজ্ঞ থাকব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy