অগ্নিকাণ্ডের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি সারাতে মোটা টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে পাত্রপক্ষকে। —নিজস্ব চিত্র।
বিয়ে করতে গিয়ে হবু কনের কাছে মুখ পুড়ল পাত্রপক্ষের। বরযাত্রীদের বাজির আগুনে পুড়ে গেল পাত্রীপক্ষের পাড়াপ্রতিবেশীদের ঘরবাড়ি। আহত হলেন এক প্রতিবেশীও। রবিবার রাতে এই অগ্নিকাণ্ডের পর শেষমেশ ছাদনাতলায় বসেন পাত্র-পাত্রী। যদিও অগ্নিকাণ্ডের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি সারাতে মোটা টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে পাত্রপক্ষকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাতে আখি খাতুনের সঙ্গে শেখ সানাদার আলির বিয়ে ছিল। ইলাম গ্রামের মোজাম্মেল হকের বাড়িতে বরযাত্রী-সহ এসেছিলেন শেখ লতিফুরের ছেলে সানাদার। বিয়েবাড়িতে ঢোকার আগে গাড়ি থেকে পাত্র নামামাত্রই আতশবাজি ফাটাতে থাকেন বরযাত্রীরা। বাজি ফাটানোর সময় সাজাহান আলি নামে গ্রামের এক বাসিন্দার বাড়ির ছাদে থাকা ধানের খড় ও পাটকাঠিতে আগুন লেগে যায়। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে বাড়ির ছাদ। নিমেষের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে রান্নাঘরেও। বরযাত্রীরা ভয়ে পালিয়ে গেলেও আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান স্থানীয়েরা। ফোন করা হয় তুলসীহাটা দমকল অফিসে। তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১টি ইঞ্জিন। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকলকর্মীরা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বরযাত্রীদের বাজির আগুনে সাজাহানের শোয়ার ঘর ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। আগুনে পুড়েছে তাঁর রান্নাঘরও। গ্রামের আর এক বাসিন্দা হেলাল আলির একটি রান্নাঘরেরও একই দশা হয়েছে। অন্য দিকে, প্রতিবেশীদের বাড়িতে আগুন দেখে তা নেভাতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে যান বিশুয়া শেখ নামে ৩৫ বছরের এক যুবক। রাতেই তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
এই অগ্নিকাণ্ডের পরে অবশ্য শুভকাজটি হয়েছে। আখি এবং সানাদারের চার হাত এক হয়েছে। পাশাপাশি, পাত্রপক্ষ যেচেই গ্রামবাসীদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। অগ্নিদগ্ধ ঘরবাড়ি সারাই করতে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সানাদাররা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy