মালদহের জনসভা থেকে এ বার কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। অন্য দিকে, মালদহ এবং রায়গঞ্জে তৃণমূলকে দুর্নীতির প্রশ্নে বিঁধলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার নিজের নিজের দলের প্রার্থীদের প্রচারে মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরে এই দুই নেতার কর্মসূচি ছিল। এ দিন বৃষ্টি হলেও, দুই নেতার রাজনৈতিক প্রচারে তা বাধা হয়নি।
দু’দিন আগে, মালদহের সুজাপুরের জনসভা থেকে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন কংগ্রেসের ‘ঘাঁটি’ হিসেবে পরিচিত মালদহের সুস্থানি মোড় ও রতুয়ার পিরগঞ্জের জনসভা থেকে প্রয়াত নেতা গনিখান চৌধুরীর নাম নিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন ফিরহাদ হাকিম। সংখ্যালঘু প্রধান মালদহে তৃণমূল নেতৃত্বের কংগ্রেসকে আক্রমণ ‘তাৎপর্যপূর্ণ’, দাবি তৃণমূলেরই একাংশের। জনসভা থেকে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বরকতদা সিপিএমকে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলার কথা বলতেন। তিনি বেঁচে থাকলে, আর কংগ্রেস করতেন না। তাঁর দল এখন সিপিএমের হাত ধরছে। কংগ্রেস, সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানে, বিজেপির হাত শক্ত করা।” ভোট ভাগাভাগি রুখতে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
পিরগঞ্জে হিন্দি সিনেমার সংলাপ বলে বিজেপিকে আক্রমণ করেন ফিরহাদ। তাঁর পাল্টা সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেতা ইশা খান চৌধুরী। তিনি বলেন, “তৃণমূল বুঝতে পারছে, মালদহের মানুষ ফের কংগ্রেসের দিকে ঝুঁকছেন। তাই তৃণমূল নেতারা কংগ্রেসকে আক্রমণ করছেন। যদিও তাতে লাভ হবে না।” এ দিন মন্ত্রী ফিরহাদের হাত ধরে সিপিএমের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী শিল্পী রায় ও নির্দল প্রার্থী নুরুল নেহা তৃণমূলে যোগ দেন।
অন্য দিকে, এ দিনই উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী তৃণমূলের সভাপতি ছিতা টুডু বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন। মালদহের গাজলের একাধিক গ্রামে নির্বাচনী প্রচারের পরে, রায়গঞ্জে জনসভা করেন তিনি। সে সভা থেকে তৃণমূলকে দুর্নীতির অভিযোগে আক্রমণ করেন দিলীপ। দাবি করেন, ‘‘আমাদের প্রার্থীরা জিতলে, আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করে এলাকার উন্নয়ন ও সরকারি টাকা খরচ করবে।’’ জেলা জুড়ে তৃণমূল চুরি, লুট ও দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, “তাই ছিতা ও কিছু দিন আগে রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সহ-সভাপতি মানসকুমার ঘোষ বিজেপিতেযোগ দেন।”
জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের মন্তব্য, ‘‘তৃণমূলের কিছু প্রার্থী হতে না-পারা পরিত্যক্ত ও সুবিধাবাদীদের দলে টেনে বিজেপি জেলা দখলের স্বপ্ন দেখছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)