Advertisement
E-Paper

মিথ্যে ফাঁসালে মামলার হুঁশিয়ারি বিজেপির

পুলিশ তাঁদের দলের নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলল বিজেপি। সেক্ষেত্রে পাল্টা মামলারও হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য। সোমবার বিজেপির মালদহ জেলার দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেন তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৫ ০২:২৩
স্মারকলিপি দিতে যাচ্ছেন শমীক ভট্টাচার্য। —নিজস্ব চিত্র।

স্মারকলিপি দিতে যাচ্ছেন শমীক ভট্টাচার্য। —নিজস্ব চিত্র।

পুলিশ তাঁদের দলের নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলল বিজেপি। সেক্ষেত্রে পাল্টা মামলারও হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য। সোমবার বিজেপির মালদহ জেলার দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘‘মালদহের দুই পুরসভাতেই আক্রান্ত হচ্ছে দলের নেতা-কর্মীরা। শাসক দলের নির্দেশে পুলিশ আমাদের জয়ী প্রার্থী, নেতা কর্মীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছে। পুলিশ ও শাসক দল মিলে এখানে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘তাই পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসালে, আমরাও তাঁদের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করব।’’

তাঁর কথায়, তৃণমূলের সন্ত্রাসের হাত থেকে মালদহকে রক্ষা করতে হলে মানুষকেই একজোট হতে হবে। জোট বেঁধেই তাঁদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

পুরসভা গঠনে বিজেপির ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘মানুষ আমাদের বিরোধী আসনে থাকার রায় দিয়েছে। তৃণমূলের বিরোধিতা করার জন্য আমাদের তাঁরা বিরোধী আসনে বসিয়েছেন। তাই পুরবোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে কখনও তৃণমূলের সঙ্গে কোনও পুরসভাতেই আমরা যাব না।’’ মালদহের ইংরেজবাজারের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির জয়ী প্রার্থী সঞ্জয় শর্মা, তাঁর দুই ভাই এবং দুই কর্মীর বিরুদ্ধে তৃণমূলের কার্যকরী সভানেত্রী তথা ওই ওয়ার্ডের প্রার্থী প্রতিভা সিংহের উপর মারধরের অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনায় সঞ্জয়বাবুকে পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারলেও তাঁর দুই ভাই এবং কর্মীরা জেল হেফাজতে রয়েছেন। এ দিন তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে জেলা সংশোধনাগারে যান দক্ষিণ বসিরহাট কেন্দ্রের বিধায়ক তথা বিজেপির রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক শমীক ভট্টাচার্য।

বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ তাদের সঙ্গে দেখা করার পর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী সোমা দাসের বাড়িতে যান তাঁরা। এর পর সঞ্জয়বাবুর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। এর পর দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে জেলা কার্যালয় বালুরচর থেকে মিছিল করে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে গিয়ে পাঁচ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ জমা পড়লেই অতি সক্রিয় হয়ে উঠছে পুলিশ। দ্রুত তাঁদের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দিচ্ছে। অপর দিকে শাসক দলের নেতা কর্মীদে- বিরুদ্ধে কোনও গ করলে গ্রেফতার করা দূর অস্ত্ মামলা পর্যন্ত করছে না পুলিশ।

অভিযোগ, নির্বাচনের আগে পথসভা চলাকালীন যুব মোর্চার জেলা সভাপতি উত্তম নন্দীকে মারধর করা হয়। থানায় অভিযোগ হয়েছে। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।

কলেজ নির্বাচনের সময় গৌড় মহাবিদ্যালয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন জেলার সাধারণ সম্পাদক মানবেন্দ্র চক্রবর্তী। এখানেও শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। পুলিশের এমন ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শমীকবাবু।

এ দিন বেলা ৩টে নাগাদ ইংরেজবাজারের অতুলচন্দ্র মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় কর্মিসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এই কর্মিসভায় উপস্থিত ছিলেন, রাজ্যের আরেক সাধারণ সম্পাদক বিশ্বপ্রিয় রায় চৌধুরী, জেলা সভাপতি শিবেন্দুশেখর রায়-সহ জেলার একাধিক নেতৃত্বরা। এই কর্মিসভা থেকেই মানুষকে তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের ডাক দেওয়ার আহ্বান জানান শমীকবাবু।

Malda BJP municipal election Malda municipality Gourabanga university
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy