Advertisement
E-Paper

মালদহে মেঘ, দুই দিনাজপুরে ফিরল আশ্বিন

জেলা প্রশাসনের রিপোর্ট অনুযায়ী, মঙ্গলবার পর্যন্ত মালদহ জেলার ১২টি ব্লকের ৩৫৯টি গ্রাম বন্যা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ ০১:৩৮
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

গত ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাত না হলেও মঙ্গলবার মালদহের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হল। ভিন রাজ্য থেকে নেমে আসা জলে গঙ্গা, ফুলহার ও মহানন্দা নদীর জল আর বাড়ল। ফলে নতুন করে প্লাবিত হল জেলার আরও বেশ কিছু গ্রাম। কিন্তু দক্ষিণ দিনাজপুরের আকাশে মেঘ কেটেছে। দুর্যোগ প্রায় কেটে গিয়ে রোদ উঠতেই সকাল থেকে বালুরঘাটে জমে গেল পুজোর বাজার। উত্তর দিনাজপুরেও সকাল থেকে দোকানে দোকানে ভিড় শুরু হয়। কিন্তু বেলা ১টা নাগাদ আবার ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়। সেই বৃষ্টি কিছু পরে থামে। বিকেল থেকে ফের ভিড় উপচে পড়ে বাজারে।

জেলা প্রশাসনের রিপোর্ট অনুযায়ী, মঙ্গলবার পর্যন্ত মালদহ জেলার ১২টি ব্লকের ৩৫৯টি গ্রাম বন্যা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত। দুর্গত মানুষের সংখ্যা ছাড়াল সোয়া দুই লক্ষেরও বেশি। তিন নদীর জল ক্রমশ বেড়ে চলায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ আরও বাড়ছে প্রশাসন ও সেচ দফতরের। জানা গিয়েছে, সেচ দফতরের তরফে জেলার একাধিক বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে। দিনের পাশাপাশি রাত জেগেও সেই কাজ চলছে। এদিকে এদিন কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে মালদহের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দুই মন্ত্রীকে পাঠান হচ্ছে।

সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে গঙ্গা চরম বিপদসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই গঙ্গার জলস্তর বাড়ছে। এদিন ফুলহার নদীর জলস্তরও চরম বিপদসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে। বিপদসীমা ছাড়িয়েছে মহানন্দাও। ফলে তিন নদীর জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত এলাকার সংখ্যা জেলায় ক্রমশ বেড়ে চলেছে। একেবারে পুজোর দোরগোড়ায় এই বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের কর্তাদের রাতের ঘুম কার্যত উড়ে গিয়েছে। গঙ্গার জল বাড়তে থাকায় ইতিমধ্যে পারদেওনাপুর-শোভাপুর, কুম্ভিরা, বীরনগর ১, পঞ্চনন্দপুর ১ ও ২, রাজনগর, বাঙ্গিটোলা, হামিদপুর, চৌকি মিরদাদপুর, গোপালপুর দক্ষিণ চণ্ডীপুর, হীরানন্দপুর প্রভৃতি গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। ফুলহারের জলে ভাসছে ইসলামপুর, দৌলত নগর, ভালুকা, বিলাইমারি, মহানন্দাটোলা, সাদলিচক, সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি। অভিযোগ, পর্যাপ্ত ত্রাণ বিলি হচ্ছে না।

Flood Malda Rain
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy