কেউ সাইকেলে। কেউ বাইকে। চলছে এটিএমের খোঁজ। একবার নতুন বাজার, আরেকবার সুনীতি রোড। আরেক মুহূর্তেই সাগর দিঘির পাড়। শীতের রাত। সন্ধ্যের পর থেকেই হালকা ঠান্ডা হাওয়া বইছে। রাত বাড়তে শুরু করতেই কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারদিক। তবুও এটিএমের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে বাসিন্দাদের অনেকে। শেষপর্য়ন্ত কেউ টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। কাউকে অবশ্য খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে। গ্রাহকদের অনেকেই বলেন, “টাকার খুব প্রয়োজন। দিনের বেলায় অনেক ভিড় থাকে। তাই সন্ধ্যের পরেই লাইনে দাঁড়িয়ে যাচ্ছি। রাত বেশি হলে লাইনও হালকা হয়ে যাচ্ছে। যদিও কোচবিহারের লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সঞ্জয় কুমার জানান, “অনেক এটিএম খোলা হয়েছে। আগের থেকে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে।”
প্রশাসন সূত্রের খবর, গ্রাম ও শহর মিলিয়ে কোচবিহার জেলায় ১৬৮ টি এটিএম রয়েছে। এর মধ্যে গ্রামের প্রায় সব এটিএম এখন অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। শহরের সব এটিএম কাউন্টার খোলা নয়। হাতে গোণা এটিএমের উপরেই নির্ভর করতে হচ্ছে অনেককে। গ্রাম ও শহরতলি এলাকার অনেকেও এটিএম খুঁজতে শহরে হাজির হচ্ছেন। ভেটাগুড়ির বাসিন্দা সূজন বর্মন জানান, সেখানে থাকা তিনটি এটিএমে টাকা নেই এক মাস ধরে। তাই তাঁদের দিনহাটা শহরে ছুটতে হয়। দিন কয়েক আগে তিনি রাত সাড়ে ১২ টা নাগাদ একটি এটিএম থেকে টাকা তোলেন। তিনি বলেন, “শীতের রাতে কষ্ট হচ্ছিল। ঠান্ডার মধ্যে অনেকক্ষণ দাঁড়াতে হয়েছে। বাড়ি ফিরতেও রাত হয়। কিন্তু কী করব, টাকার খুব দরকার ছিল। নানা জায়গায় ঘুরেও এটিএমে টাকা পাইনি।” শুধু দিনহাটা নয়, কোচবিহার শহরেও সন্ধ্যের পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বাসিন্দাদের এটিএমের লাইনে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। শনিবার রাত ১২টার পরে দিনহাটা রোডে নিউটাউন মোড়ের কাছে একটি কাউন্টারে প্রায় কুড়ি জনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা একজন জানান, বেশ কয়েক জায়গায় ঘুরেও টাকা পাননি। তাই রাতে সেখানে দাঁড়িয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy