Advertisement
E-Paper

বন্‌ধে ফাঁক, পাহাড়ে রেশন বিলি

গত ১৫ জুন পাহাড়ে হঠাৎই লাগাতার বন্‌ধ শুরু হয়। এর পরে খাদ্য দফতর থেকে জানানো হয়েছে, মজুত থাকা সামগ্রী দিয়ে আরও দিন পনেরো রেশন বিলি-বণ্টন চালানো যাবে।

অনির্বাণ রায়

শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৭ ০৫:৫৩
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

পাহাড়ে বন্‌ধ চলাকালীন বিলি হয়েছে রেশনের চাল-আটাও। নেতাদের নজর এড়িয়ে ২ টাকা কেজি দরে চাল-আটা পেয়েছেন বাসিন্দারা। খাদ্য দফতরের পরিসংখ্যান থেকে অন্তত তেমনই জানা গিয়েছে। তবে নিরাপত্তার খাতিরে বন্‌ধের সময়ে কোনও ডিলারের ঘর থেকে চাল-আটা বের হয়েছে, তা জানাতে রাজি নয় খাদ্য দফতর।

গত ১৫ জুন পাহাড়ে হঠাৎই লাগাতার বন্‌ধ শুরু হয়। এর পরে খাদ্য দফতর থেকে জানানো হয়েছে, মজুত থাকা সামগ্রী দিয়ে আরও দিন পনেরো রেশন বিলি-বণ্টন চালানো যাবে। কিন্তু বন্‌ধ শুরু হওয়ার পরপরই বন্ধ হয়ে যায় রেশন বিলিও। সরকারি সূত্রে দাবি, এই বিলি-বণ্টন আবার শুরু হয়েছে সপ্তাহ দুয়েক আগে। তবে অবশ্যই লুকিয়েচুরিয়ে।

প্রতি মাসে ৬ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং ১০ হাজার মেট্রিক টন আটা বিলি হয় পাহাড়ে। দু’টাকা কেজি দরে খাদ্যশস্য রেশনে বিলি করে রাজ্য। তিন মহকুমায় ৬৪৯টি দোকান থেকে এই পরিমাণ খাদ্যশস্য বিলি হয়। বুধবার খাদ্য দফতরের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে দার্জিলিঙে। জেলা দফতর জানিয়েছে, পাহাড়ে রেশন ডিলারদের ঘরে মজুত চাল-আটা শেষ। জেলা প্রশাসনের এক কর্তার দাবি, ‘‘এই পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যাচ্ছে, পাহাড়ে রেশন বিলি হয়েছে। দোকান থেকে রেশন প্রাপকদের চাল-আটা দেওয়া হয়েছে।’’ পাহাড়ে আগামী মাসের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ রেশন সামগ্রী পাহাড়ের পাদদেশের কয়েকটি গুদামে মজুত করা হয়েছে। বন্‌ধ প্রত্যাহার হলে দ্রুত সেই খাদ্য সামগ্রী পাহাড়ে তোলা হবে।

সূত্রের খবর, সপ্তাহ দুয়েক আগে থেকেই এমআর ডিলারদের ঘর থেকে আনাজ বের হতে শুরু করে। পুলিশি পাহারা থাকায় পাহাড়ের অনেক দফতরই বন্‌ধের সময় খোলা ছিল। যদিও খাদ্য দফতরের অফিস ছিল বন্ধ। অলিগলিতে থাকা রেশন ডিলারদের দোকানের সামনেও পাহারা ছিল না। ফলে দোকান খোলা সম্ভব হয়নি। লাগাতার বন্‌ধ চলতে থাকায় পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় খাদ্য সঙ্কট শুরু হয়। খাদ্য দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘মূলত স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপেই কিছু রেশন দোকান থেকে চাল-আটা দেওয়া হয়েছে। মানুষের কাছে খাদ্য পৌঁছে দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য।’’

কেন নেতাদের নির্দেশ সত্ত্বেও দোকান খুলতে শুরু করেছে? পাহাড়বাসীদের একাংশের বক্তব্য, পেটে টান পড়ার ফলেই ক্ষোভ তৈরি হয়। সে জন্যই মাসখানেক আগে থেকে বেশ কিছু এলাকায় রাতের দিকে দোকান খুলে বেচা-কেনা শুরু হয়। তাতে এ বার সংযোজন রেশন বিলি। কয়েক দিন আগেই পাহাড়ের দু’টি চা বাগানে রেশন বিলি হয়েছে। সে খবর ছড়িয়ে পড়তেই পাহাড়ে আরও কয়েকটি চা বাগানের শ্রমিকরা খাদ্য দফতরকে রেশন পাঠানোর আর্জি জানান। মোর্চা নেতা রোশন গিরি অবশ্য বলেন, ‘‘এ সব বিষয় নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।’’

Foods Hills রেশন
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy