Advertisement
E-Paper

শিব পুজো দিতে রাজাভাতখাওয়া গেটে এন্ট্রি-ফি

মহাকাল মন্দিরটি ভুটান সীমান্তের ভিতরে পড়লেও বছরের নানা সময়ে এ রাজ্যের প্রচুর মানুষ সেখানে পুজো দিতে যান। শিবরাত্রির সময়ে সেই ভিড় বহুগুণ বেড়ে যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৯ ০৫:০৭
পসরা: শিবরাত্রির আগে বাজার। রবিবার, আলিপুরদুয়ারে। নিজস্ব চিত্র

পসরা: শিবরাত্রির আগে বাজার। রবিবার, আলিপুরদুয়ারে। নিজস্ব চিত্র

বক্সার জঙ্গলের ভিতর দিয়ে শিবের পুজো দিতে মহাকাল মন্দিরে যাওয়ার জন্য এ বার রাজাভাতখাওয়ার গেটে এন্ট্রি-ফ্রি দিতে হবে পুন্যার্থীদের৷ এর মধ্যে তা চালুও হয়ে গিয়েছে বলে বন দফতর সূত্রের খবর। তবে, বন দফতরের কর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন, এই এন্ট্রি-ফি বছরের অন্য দিনের চেয়ে অনেকটাই কম করা হয়েছে।

মহাকাল মন্দিরটি ভুটান সীমান্তের ভিতরে পড়লেও বছরের নানা সময়ে এ রাজ্যের প্রচুর মানুষ সেখানে পুজো দিতে যান। শিবরাত্রির সময়ে সেই ভিড় বহুগুণ বেড়ে যায়। এই সময়টা এ রাজ্য ছাড়াও অসম, বিহার ঝাড়খণ্ড থেকেও প্রচুর মানুষ মন্দিরে শিবের পুজো দিতে যান। মূলত, রাজাভাতখাওয়া গেট পেরিয়ে বক্সার জঙ্গল দিয়ে জয়ন্তি পাহাড় পেরিয়ে ভুটানের ওই মন্দিরটিতে যেতে হয়।

সূত্রের খবর, বছরের অন্য সময়ে রাজাভাতখাওয়া গেট দিয়ে বক্সার জঙ্গলে প্রবেশের ক্ষেত্রে পর্যটকদের এন্ট্রি-ফি দিতে হলেও, শিবরাত্রির সময়ে তা মুকুব করে দিত বন দফতর৷ তবে এ বার সেই নিয়মে বদল আনা হয়েছে। যদিও বন দফতরের এক কর্তা জানান, আমরা দেখেছি, এন্ট্রি-ফি একেবারে না থাকলে ভিড় নিয়ন্ত্রণে থাকে না। তা ছাড়া, গত বছর এই সময়ে বক্সার জঙ্গল প্রচুর নোংরা হয়েছিল। সে জন্যই এ বার সামান্য এন্ট্রি-ফি নেওয়ার সিদ্ধান্ত৷ যাতে এই অর্থে জঙ্গল সাফ করা যায়৷ ওই আধিকারিক জানান, বছরের অন্য সময়ে রাজাভাতখাওয়া গেটে ঘুরতে যাওয়া মানুষদের জন্য মাথাপিছু একশো টাকা ও গাড়ির জন্য তিনশো টাকা নেওয়া হয়। সেখানে শিবরাত্রির জন্য তা কমিয়ে মাথাপিছু কুড়ি টাকা ও গাড়িপিছু চল্লিশ টাকা এন্ট্রি-ফি ধরা হয়েছে।

এ দিকে, শিবরাত্রি ঘিরে এর মধ্যেই মহাকাল মন্দিরে যেতে শুরু করেছেন মানুষ। জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন প্রায় দশ হাজার মানুষ ওই মন্দিরে যান। সোমবার আরও পঞ্চাশ হাজার মানুষ মন্দিরে যাবেন বলে মনে করছেন পুলিশ কর্তারা। মহাকাল মন্দিরটি সীমান্তের ওপারে থাকায় মন্দিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে ভুটান পুলিশ রয়েছে। কিন্তু, রাজাভাতখাওয়া গেট থেকে গোটা পথের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে রাজ্য পুলিশ। কেউ যাতে ডিজে নিয়ে মন্দিরে যেতে না পারে, সে জন্য রাজাভাতখাওয়া গেটে চলছে তল্লাশিও।

জয়গাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “শিবরাত্রি উপলক্ষে মহাকাল মন্দির যাওয়ার গোটা রাস্তাতেই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

Forest Department Buxar Forest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy