E-Paper

নদীর ধারে রাতজাগা, হাতি দেখার সুযোগ

মাত্র কয়েকশো টাকাতেই পরিবার কিংবা বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে জঙ্গল, পাহাড় ঘেরা জায়গায় রাতে পিকনিক ও 'নাইট ক্যাম্পিং' করতে পারবেন।

শুভঙ্কর পাল

শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:১০

Sourced by the ABP

ডিসেম্বর, জানুয়ারির সন্ধ্যায় নদীর পাড়ে ‘নাইট ক্যাম্পিং’য়ের ব্যবস্থা। খাবারের তালিকায় থাকছে লোভনীয় সব পদের নানা খাবার। সুযোগ থাকলে দূর থেকে গজরাজের দর্শনও সেরে ফেলা যাবে। সবটাই কিঞ্চিৎ মূল্যেই সম্ভব। কারণ, পাহাড়ের কোলে এ বছর এমনই রোমাঞ্চকর অনুভূতির সুযোগ করে দিচ্ছে রাজ্যের বন দফতর।

মাত্র কয়েকশো টাকাতেই পরিবার কিংবা বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে জঙ্গল, পাহাড় ঘেরা জায়গায় রাতে পিকনিক ও 'নাইট ক্যাম্পিং' করতে পারবেন। এ বছর কার্শিয়াং বন বিভাগের পানিঘাটা রেঞ্জের অধীন পানিঘাটা রিভার-ফ্রন্ট ইকোপার্ককে সাজিয়ে তোলা হয়েছে পর্যটকদের জন্য। যেখানে পাহাড় ঘেরা নদীর পাশে দিনের বেলায় পিকনিক, রাতে ‘নাইট ক্যাম্পিং’ করা যাবে। ক্যাম্পিংয়ের জন্য খাবার-সহ মাথাপিছু খরচ পড়বে মাত্র ৩০০ টাকা। নতুন এই উদ্যোগের নাম রাখা হয়েছে ‘এক্সপ্লোর পানিঘাটা রিভারফ্রন্ট ইকোপার্ক’।

পানিঘাটা পুলিশ ফাঁড়ির পাশে এই নতুন জায়গাকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। প্রাকৃতিক সুইমিং পুল, তাঁবু, খাবারের দোকান, শৌচালয় সবই রয়েছে। এক সময় নদীর পারে বালি-পাথর চুরিতে যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি, কাঠ পাচারের মতো অপরাধও বাড়ছিল। যে কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বনির্ভর করে তুলতে উদ্যোগী হয় কার্শিয়াং বন বিভাগ। বন বিভাগের প্রধান দেবেশ পাণ্ডে বলেন, ‘‘এ বছর ২০টি তাঁবু সেখানে করা হয়েছে। প্রতি তাঁবুতে দু’জন করে থাকতে পারবেন। দিনেও সেখানে পিকনিক করা যাবে। এতে স্থানীয় অর্থনীতির যেমন বিকাশ হবে, তেমনই ওই এলাকাও পর্যটনের দিক থেকে উন্নত হবে।’’

দিনে ও রাতে হাতি-সহ অন্য বন্যপ্রাণীদের উপর নজর রাখতে সেখানে বনকর্মীরা মোতায়েন থাকবেন বলে বন দফতর সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই সেখানে এলাকাকে পরিষ্কার করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। ঠান্ডা পড়তেই আগামী সপ্তাহ থেকে লোকজনের ভিড় বাড়বে বলে আশা করছেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি, কার্শিয়াং বন বিভাগের অধীন অন্য পিকনিক স্পটগুলিতে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। টিপুখোলা, টাইপোখোলা, ট্রি ল্যান্ড-সহ কিছু জায়গায় প্রতি বছর প্রচুর লোকজন পিকনিকের জন্য ভিড় করেন। জঙ্গলে নিষিদ্ধ এলাকাগুলিতে ঢুকে পিকনিক করলে সে ক্ষেত্রে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বন দফতরের আধিকারিকেরা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kurseong Forest department

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy