E-Paper

আতঙ্কে দেড়শো পরিবার

রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারের কাজে হাত লাগায় মানিকচক থানার পুলিশ। মঙ্গলবার বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সেচ দফতরের আধিকারিকেরা এলাকা ঘুরে যান।

জয়ন্ত সেন

শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৪ ১১:২৪
মানিকচকের গঙ্গা ঘাটে ভাঙনে তলিয়ে গেল ঘাট পারে থাকা দোকান ও বেশ কিছু ঘরবাড়ি।

মানিকচকের গঙ্গা ঘাটে ভাঙনে তলিয়ে গেল ঘাট পারে থাকা দোকান ও বেশ কিছু ঘরবাড়ি। ছবি: উত্তম বিশ্বাস

সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার এলাকা পরিদর্শনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মালদহের মানিকচক ঘাট এলাকায় শুরু হল গঙ্গা ভাঙন। সোমবার রাত ১টা নাগাদ দেড়শো মিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন শুরু হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেখানে থাকা ৮টি পরিবারের ঘরবাড়ি ও ১০টির মতো দোকানপাট তলিয়ে যায়। পরিবারগুলির দাবি, এমনই আচমকা ভাঙন হয় যে তাঁরা আসবাব সরানোর সময়ও পাননি।

রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারের কাজে হাত লাগায় মানিকচক থানার পুলিশ। মঙ্গলবার বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সেচ দফতরের আধিকারিকেরা এলাকা ঘুরে যান। যে জায়গায় ভাঙন হয়েছে তার পাশেই প্রায় দেড়শো ভাঙন দুর্গত পরিবার অস্থায়ী ঘরবাড়ি করে থাকছেন।

সোমবার বিকেলে মন্ত্রী ভাঙন পরিস্থিতি নিয়ে বিডিও অফিসে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। মন্ত্রী জেলা ছাড়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই সোমবার রাত একটা থেকে ভাঙন শুরু হয়। ওই ঘাট থেকেই ঝাড়খণ্ডের রাজমহল পর্যন্ত যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে বার্জ চলাচল করে। পাশাপাশি যাত্রিবাহী নৌকাও চলে। জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে ব্লকেরই নারায়ণপুর চরের দেড়শো পরিবার মানিকচক ঘাট এলাকার এক দিকে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাঁরা খড়ের ঘর তুলে বসবাস করছিলেন। দু’-এক জন ইটের ঘরও করেন। এ ছাড়া ছিল বেশ কিছু দোকানপাট। সোমবার রাত থেকে ভাঙনে সেই দোকানপাট ও ঘরবাড়ির একাংশ নদীতে তলিয়ে যায়। ভাঙনে দুর্গত প্রদীপ চৌধুরী বলেন, “নারায়ণপুর চরে ভাঙনে ভিটে হারিয়ে মানিকচক ঘাটের পারে আশ্রয় নিয়েছিলাম। ইটের ঘর তৈরি করে সপরিবার বসবাস করছিলাম। সোমবার রাত দুটো নাগাদ আমার ঘর গঙ্গা গিলে নিল। ঘআসবাব বের করার সুযোগ পেলাম না।” একই কথা নন্দলাল চৌধুরী, পরান মণ্ডল, লালু ভগতদের। ঘাটের পারেই চায়ের দোকান ছিল রুদল চৌধুরীর। তিনি বলেন, “সোমবার রাত আটটা নাগাদ দোকান বন্ধ করে বাড়ি গিয়েছিলাম। মানুষের চিৎকারে রাত একটা নাগাদ ঘাটে এসে দেখি আমার চাটাইয়ের চায়ের দোকান নদীতে ভাসছে।”

মানিকচকের বিডিও অনুপ চক্রবর্তী বলেন, “কয়েকটি পরিবারের বাড়ি ও দোকান ভাঙনে তলিয়েছে। তাঁদের রান্না করা খাবারের পাশাপাশি ত্রাণও বিলি করা হয়। সেচ দফতরকে জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধের কাজের কথা বলা হয়েছে।” সেচ দফতরের এক কর্তা বলেন, “পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Erosion River

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy