Advertisement
E-Paper

তৃণমূল নেতা খুন, গ্রেফতার দলেরই নেতা

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানাচ্ছে, সুনসান পথে হঠাৎই সন্তোষকে ঘিরে ধরেন অমল ও তাঁর দুই সঙ্গী। অভিযোগ, এক দফা কথা কাটাকাটির পরে সন্তোষের পেটে ভোজালি চালানো হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৬:০৯
নিথর: সন্তোষ দাস। নিজস্ব চিত্র

নিথর: সন্তোষ দাস। নিজস্ব চিত্র

শুক্রবার রাতে শহরের মাঝে খুন হয়ে গেলেন গঙ্গারামপুরের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি। এবং খুনের অভিযোগ গ্রেফতার করা হল আর এক তৃণমূল নেতাকে। যা দেখার পরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। স্থানীয় লোকজনের একাংশ বলছে, কালদিঘি আশ্বিনপাড়ার বাসিন্দা সন্তোষ দাস (৬৫) ছিলেন বিপ্লব মিত্র ঘনিষ্ঠ। বিপ্লব বিজেপিতে চলে যাওয়ার পরে ৫ নম্বর দমদমার অঞ্চল সভাপতি সন্তোষ কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। অন্য দিকে, অভিযুক্ত অমল গোস্বামী বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর সঙ্গেই ছিলেন বলে জানিয়েছেন দলের অনেকেই। যদিও দলেরই একটি অংশের দাবি, এর সঙ্গে রাজনীতির ব্যক্তিগত কারণও থাকতে পারে।

স্থানীয় লোকজন বলছেন, এলাকায় সজ্জন ব্যক্তি হিসেবেই পরিচিত ছিলেন সন্তোষ। শুক্রবার রাত ন’টা নাগাদ কালদিঘি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্ভবত একাই ছিলেন সন্তোষ। যে এলাকায় তাঁর উপরে হামলা চালানো হয়, সেখানে ওই সময়ে সাধারণত লোকজন থাকে। কিন্তু শুক্রবার একে বৃষ্টি, তার উপরে মহালয়ার আগের দিন। তাই দোকানিরা তাড়াতাড়ি ঝাঁপ বন্ধ করে চলে গিয়েছিলেন। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানাচ্ছে, সুনসান পথে হঠাৎই সন্তোষকে ঘিরে ধরেন অমল ও তাঁর দুই সঙ্গী। অভিযোগ, এক দফা কথা কাটাকাটির পরে সন্তোষের পেটে ভোজালি চালানো হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক জন এগিয়ে এলে সন্তোষকে ফেলে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। লোকজন এসে দেখে, রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি পড়ে আছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কালদিঘির সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

রাতেই অমলকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। আটক করা হয় তাঁর দুই সঙ্গীকে। অমলের বাড়ি জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি তথা তৃণমূল নেতা ললিতা টিগ্গার পাড়াতেই। ফলে তিনি খবর শুনে কার্যত হতভম্ব। শনিবার নিহত সন্তোষের বাড়িতে গিয়ে ললিতা বলেন, ‘‘সন্তোষ তৃণমূলের পুরনো নেতা ছিলেন। তাঁর ব্যবহারও ভাল। অমলও আমাদের দল করে। আমরা বিষয়টা খতিয়ে দেখছি।’’

তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি, সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে কাজ করতেন অমল। সেখান থেকে তাঁর চাকরি চলে যায়। সে জন্য তিনি সন্তোষকে দায়ী করে তাঁর উপরে হামলা চালালেন কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখবে দল। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

TMC Murder Gangarampur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy