Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূতের গুজব

এ ধরনের গুজব ছড়িয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ শিক্ষক, অধ্যাপক, কর্মীদের অনেকেরই। কর্তৃপক্ষও ব্যবস্থা নিতে তৎপর।

নির্জন: ক্যাম্পাসে ফাঁকা রাস্তা। তাতেই ছড়াচ্ছে গুজব। নিজস্ব চিত্র

নির্জন: ক্যাম্পাসে ফাঁকা রাস্তা। তাতেই ছড়াচ্ছে গুজব। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:০৮
Share: Save:

খোদ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই এ বার ভূতের গুজব! বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষর বক্তব্য, বদ মতলবে কেউ এই গুজব ছড়াচ্ছে।

উদ্বিগ্ন পড়ুয়া, অভিভাবক এবং শিক্ষকরাও। কেউ ফোন করে জিজ্ঞাসা করছেন, ‘‘শালকুঞ্জে কী ‘ভূত’ দেখা গিয়েছে?’’ কেউ জিজ্ঞাসা করছেন, ‘‘যে সব ছবি ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়েছে এ সব কী?’’

এ ধরনের গুজব ছড়িয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ শিক্ষক, অধ্যাপক, কর্মীদের অনেকেরই। কর্তৃপক্ষও ব্যবস্থা নিতে তৎপর। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা রক্ষীদের সতর্ক করা হয়েছে। কোনও খারাপ উদ্দেশ্যে গুজব ছড়িয়ে কেউ কিছু করতে চাইছে কি না দেখার জন্য তাদের বলা হয়েছে। পুলিশকেও জানিযে যাঁরা গুজব ছড়াচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চান কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার লক্ষীকান্ত পাঁধী বলেন, ‘‘এ ধরনের প্রচার দুর্ভাগ্যজনক। আমরা সতর্ক রয়েছি। কেউ কোনও উদ্দেশ্যে নিয়েই এ সব করছে বলেই মনে হচ্ছে। যারা গুজব ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’’

কিন্তু গুজবে কান দিয়ে সন্ধ্যার পর থেকেই পড়ুয়া, বহিরাগতদের একাংশ ক্যাম্পাসে শালবনের দিকে দল বেঁধে ভিড় করছে বলে অভিযোগ। সোমবার রাতে পুলিশকে জানিয়ে ওই সমস্ত বহিরাগতদের ক্যাম্পাস থেকে বার করা হয়ে। কিছু ব্যক্তি তাদের সোশ্যাল সাইটের পেজে এই গুজব ছড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক সুদেশ লামা বলেন, ‘‘আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি ফটোশপ এবং একটি বিশেষ মোবাইল অ্যাপস-এর মাধ্যমে ক্যাম্পাসের ছবি তুলে তাতে একটি ছায়ামূর্তি বসিয়ে দেখানো হচ্ছে। পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হচ্ছে।’’

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির সম্পাদক ফজলুর রহমান, সারা বাংলা শিক্ষাবন্ধু সমিতির সভাপতি গুরুচরণ রায়রা সকলেই এ ধরনের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ফজলুর বলেন, ‘‘কয়েক দশক ধরে ক্যাম্পাসে রয়েছি। এ সব গুজব মাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা ঠিক নয়।’’ ছাত্র সংসদের সভাপতি নয়ন মোহন্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপি নেতা মিথুন বৈশ্যরা জানান, দু দিন ধরে এই গুজবে তাঁরাও বিরক্ত। অনেক পড়ুয়া পরীক্ষার পর বাড়িতে রয়েছেন। এসব গুজব শুনে ফোন করছেন। আমরা তাদের বোঝাচ্ছি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE