Advertisement
E-Paper

ভাতা নিয়েও বাংলো দখল অফিসারদের

কোচবিহারের পূর্ত সড়ক বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকার অনিন্দ্য রায়ের নামও রয়েছে ওই অভিযোগের তালিকায়। প্রশ্ন উঠেছে, প্রতি মাসে বড়ি ভাড়াবাবদ ভাতা পেয়েও কেন ‘ইন্সপেকশন বাংলো’ দখল করে থাকবেন আধিকারিকেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:৩২

কেউ আছেন এক বছর ধরে। কেউ বা ছয় মাস। নামে ‘ইন্সপেকশন বাংলো’, কিন্তু তা যেন হয়ে উঠেছে ‘রেসিডেন্সিয়াল কোয়ার্টার’। অভিযোগ প্রতিমাসে বাড়ি ভাড়া বাবদ ভাতা মিললেও ইন্সপেকশন বাংলোতেই রয়েছেন জেলার বিভিন্ন দফতরের একাধিক আধিকারিকেরা। কোচবিহারে পূর্ত থেকে কৃষি-সেচ সমস্ত দফতরের বাংলোগুলোর এমনই হাল।

কোচবিহারের পূর্ত সড়ক বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকার অনিন্দ্য রায়ের নামও রয়েছে ওই অভিযোগের তালিকায়। প্রশ্ন উঠেছে, প্রতি মাসে বড়ি ভাড়াবাবদ ভাতা পেয়েও কেন ‘ইন্সপেকশন বাংলো’ দখল করে থাকবেন আধিকারিকেরা। এর জেরে কোনও অতিথির জন্য ওই বাংলো প্রয়োজন হলে তা পাওয়া যায় না বলেও অনেকের অভিযোগ।

অনিন্দ্যবাবু অবশ্য জানিয়েছেন, ওই দফতরের নির্বাহী বাস্তুকারের জন্য নির্দিষ্ট সরকারি আবাসনটি এখন দফতরের ‘সুপারিন্টেডেন্ট ইঞ্জিনিয়রের’ অফিসের কাজে লাগানো হয়েছেন। ফলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েই তিনি ওই বাংলোতে মাঝেমধ্যে থাকেন। তিনি বলেন, “ওই বাংলো আধিকারিকদের জন্যেই নির্মিত। অফিসের কাজে কেউ বাইরে থেকে এলে সেখানে থাকেন। তাই এই বিষয় নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকার কথা নয়।”

পূর্ত দফতরের একটি ইন্সপেকশন বাংলোতেও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়র এক মাসের বেশি সময় ধরে রয়েছেন। দফতরের কোচবিহার জেলা নির্বাহী বাস্তুকার নিমাইচন্দ্র পাল বলেন, “দীর্ঘদিন অভিযোগ ঠিক নয়। সরকারি কোয়ার্টার না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা সেখানে থাকেন।”

জেলাশাসক কৌশিক সাহা জানান, জেলাশাসক হিসেবে যোগ দেওয়ার পরে তাকেও কয়েকদিন সরকারি অতিথি নিবাসে থাকতে হয়েছিল। কিন্তু সেক্ষেত্রে ‘হাউস রেন্ট’ বা বাড়ি ভাতা বাবদ পাওয়া টাকা কেটে নেওয়া হয়। তিনি বলেন, “বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে।”

কোচবিহারে সবমিলিয়ে বিভিন্ন দফতরের ৭টি ‘ইন্সপেকশন বাংলো’ রয়েছে। সেগুলোর চাহিদাও রয়েছে। বাংলো বুকিংয়ের ক্ষেত্রে সাধারণ নিয়ম হচ্ছে পরিদর্শন বা অফিসের কাজে বাইরে থেকে আসা দফতরের আধিকারিকরা অগ্রাধিকার পাবেন। বাইরের অতিথিদেরও ওই বাংলো ভাড়া দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু কোচবিহারে প্রায় সবসময় অধিকাংশ বাংলোতে আধিকারিকরা থাকেন।

অভিযোগ, কোনও আধিকারিক আবাসনে থাকলে বেতন থেকে তাঁর ‘হাউস রেন্ট’ কেটে নেওয়া হয়। অনেকেই কম ভাড়ায় (৩০ থেকে ৫০ টাকা প্রতিদিন) বাংলোতে থেকে ‘হাউস রেন্ট’ তুলে নিচ্ছেন। অনেকে ভাড়া না দিয়েও বাংলোয় থাকছেন।

Inspection bungalow ইন্সপেকশন বাংলো Government officers
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy