উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। নিজস্ব চিত্র
উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বুধবার যোগ দেন রাজ্যপাল। হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনিতে বিশেষ বিমানে নামেন তিনি। সেখান থেকে জাতীয় সড়ক ধরে কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়িতে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। সমাবর্তনে বক্তব্য রাখেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কিছু ঠিক আছে।” সমাবর্তনে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী উদয়ন গুহ। এ দিন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৮১ জন পড়ুয়ার হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। তার মধ্যে ৩১ জনকে স্বর্ণপদক এবং চার জনকে রৌপ্যপদক দেওয়া হয়।
২০১৮ সালে শেষ বার উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। কোভিড আবহে তা ব্যাহত হয়। এ বার তাই সমাবর্তন নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ ছিল। রাজভবন থেকেও জানিয়ে দেওয়া হয়, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সমাবর্তনে উপস্থিত থাকবেন। সে ভাবেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়। গত ২ এপ্রিল সস্ত্রীক তিন দিনের সফরে দার্জিলিং পৌঁছন রাজ্যপাল। সেখান থেকেই উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তার মধ্যেই রিষড়ায় গণ্ডগোল ছড়িয়ে পড়ে। জরুরি ভিত্তিতে দার্জিলিং সফর কাটছাট করে মঙ্গলবার তিনি রিষড়ায় পৌঁছন। ওই এলাকা পরিদর্শন করে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন রাজ্যপাল। এই অবস্থার মধ্যে এক দিনের মধ্যে ফের রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গ সফরে আসবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, তাদের রাজভবন থেকে নতুন করে বার্তা দেওয়া হয়নি। স্বাভাবিক ভাবেই তারা আশায় ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল ঠিক সমাবর্তনে পৌঁছবেন। তার পরেও কিছু সংশয় তৈরি হয়।
তবে, বুধবার সকাল থেকেই পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে রাজ্যপালের উপস্থিতি নিয়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়। রাজ্যপাল ঠিক সময়ে পৌঁছবেন বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। সকালে বিশেষ বিমানে হাসিমারায় পৌঁছন রাজ্যপাল। সেখান থেকে গাড়িতে কোচবিহারে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছন। গোটা রাস্তা নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হয়েছিল। সমাবর্তনে উপস্থিত হতে পেরে তিনি যে খুশি, তা তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন রাজ্যপাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy