E-Paper

‘ধিক্কার মিছিল’, মিহিরের বিরুদ্ধে সরব বংশীবদন

কাছারি মোড়ে বক্তব্য রেখে বংশীবদন দাবি করেন, রাজবংশী প্রাথমিক স্কুল তৈরি ও নিয়োগে কোনও দুর্নীতি হয়নি। সেগুলি অনেক পুরনো স্কুল। সেগুলি সরকার অনুমোদন দিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:৪২
বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যের প্রতিবাদে ‘ধিক্কার’ মিছিল গ্রেটারের। বুধবার কোচবিহারে।

বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যের প্রতিবাদে ‘ধিক্কার’ মিছিল গ্রেটারের। বুধবার কোচবিহারে। —নিজস্ব চিত্র।

বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীর বিরুদ্ধে ‘ধিক্কার মিছিল’ করল ‘গ্রেটার কোচবিহার পিপল‌্স অ্যাসোসিয়েশন’। দু’দিন আগে মিহির অভিযোগ করেছিলেন, রাজবংশী ভাষার প্রাথমিক স্কুলের অনুমোদন ও নিয়োগ ঘিরে দুর্নীতি হয়েছে। তাতেই ক্ষুব্ধ হয় গ্রেটার। মঙ্গলবার কোচবিহার রাসমেলার মাঠে জমায়েত করেন গ্রেটার সমর্থকেরা। দুপুর ২টো নাগাদ সেখান থেকে মিছিল শুরু হয়। নেতৃত্ব দেন গ্রেটার নেতা বংশীবদন বর্মণ।

পরে, কাছারি মোড়ে বক্তব্য রেখে বংশীবদন দাবি করেন, রাজবংশী প্রাথমিক স্কুল তৈরি ও নিয়োগে কোনও দুর্নীতি হয়নি। সেগুলি অনেক পুরনো স্কুল। সেগুলি সরকার অনুমোদন দিয়েছে। ধাপে ধাপে সেই স্কুলগুলি হাইস্কুলে উন্নীত হবে বলেও বংশীবদন দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘‘মিহির গোস্বামী রাজবংশী ভাষা বিরোধী। তিনি রাজবংশী সমাজের উন্নয়নের বিরোধী। সে জন্যেই এমন কথা বলেছেন। আর ওই স্কুলের পাঠ্যক্রম তৈরি করছে সরকার। সেখানে দুর্নীতির প্রশ্ন আসে কী করে! আমরা কোনও দল বা সংগঠন বুঝি না। যাঁরা রাজবংশী সমাজের উন্নয়নের বিরোধী, আমরা তাঁদের বিরোধী।’’

বিজেপি বিধায়ক মিহির অবশ্য তাঁর বক্তব্য থেকে পিছিয়ে আসেননি। তিনি বলেন, ‘‘রাজবংশী ভাষার স্কুল হোক এটা আমিও চাই। বংশীবদন বর্মণ একা রাজবংশী নন। রাজবংশী সংগঠন অনেকেই করেন। কিন্তু ওই স্কুলে যে নিয়োগ হয়েছে, তা মানা যায় না। ২৫-৭৫ শতাংশ ভাগাভাগিতে সব হয়েছে। তৃণমূল নেতাদের তালিকা দেখে স্কুলে নিয়োগ হয়েছে। রাজবংশী শিক্ষিত বেকাররা বঞ্চিত হয়েছেন। সে কথা বলেছি বলেই মৌচাকে ঢিল পড়েছে।’’

গ্রেটার নেতারা দাবি করেছেন, কয়েক বছর ধরে উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলায় দু'শো রাজবংশী ভাষার স্কুল চলছে। সেই স্কুলগুলিকেই স্বীকৃতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। সে স্কুলে পরিকাঠামো তৈরি থেকে শুরু করে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। সে সঙ্গে পাঠ্যক্রম তৈরির কাজও শুরু হয়েছে।

নতুন বছরের জানুয়ারি মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই স্কুলগুলির উদ্বোধন করবেন বলেও প্রশাসনিক সূত্রের খবর। মূলত বংশীবদন বর্মণই ওই স্কুলগুলির সরকারি অনুমোদনের জন্য দাবি করেছিলেন। তা অনুমোদনের পরে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন বিজেপি বিধায়ক। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন গ্রেটার নেতা বংশীবদন।

মিহিরের বিরুদ্ধে কোচবিহার ১ নম্বর ব্লক অফিসের কাছে মিছিল করে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসও। সংগঠনের অভিযোগ, রাজবংশী ভাষার স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমান করেছেন মিহির।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Mihir Goswami BJP Cooch Behar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy