স্কুলের গেট থেকেই ফিরে যেতে হবে অভিভাবকদের— এ বছরের উত্তরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এমনই নির্দেশ এসেছে। সোমবারই এই নির্দেশ জেলায় এসেছে বলে খবর। স্কুল চত্বরের ভেতরে কোনও ভাবেই যাতে অভিভাবক বা বহিরাগত কেউ ঢুকতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে পুলিশ-প্রশাসনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রায় সব প্রশ্নই মোবাইলে চালাচালি হয়েছে। তা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে হয় প্রশাসনকে। উচ্চ মাধ্যমিকে কড়াকড়ি শুরুর সিদ্ধান্ত তখনই নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসনের দাবি, অভিভাবকদের সঙ্গে অনেক বহিরাগতও পরীক্ষা শুরুর আগে ক্লাসঘরে ঢুকে যায়। পরীক্ষার্থীদের নানা জিনিস সরবরাহ করে এরা। সে প্রবণতা রুখতেই এই সিদ্ধান্ত।
গত বছরের মাধ্যমিকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল ময়নাগুড়ি থেকে। এ বছর মাধ্যমিকে বাংলা পরীক্ষা শুরুর মিনিট পনেরোর মধ্যে ধূপগুড়িতে মোবাইলে প্রশ্ন চালাচালি শুরু হয় বলে অভিযোগ। উচ্চ মাধ্যমিকে এই দুই শহরে বিশেষ নজরদারি চালাবে পুলিশ। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন ধূপগুড়ি ও লাগোয়া এলাকায় কিছু সময় ইন্টারনেটের নেটওয়ার্ক ‘জ্যাম’ করে দেওয়া হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। উচ্চ মাধ্যমিকেও তেমন পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
জেলার স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলির কোনওটিতে মেটাল ডিটেক্টরের গেট থাকবে, কোথাও হাতে ধরা মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি চালানো হবে। সব ক’টি কেন্দ্রেই তল্লাশির ব্যবস্থা রাখতে নির্দেশ এসেছে কাউন্সিল থেকে। জলপাইগুড়ির জেলার চা বলয়ে ৩০টিরও বেশি কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে। বনবস্তি লাগোয়া বেশ কিছু পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। কাউন্সিল সূত্রের খবর, স্পর্শকাতর কেন্দ্রের যে তালিকা তৈরি হয়েছে, তার সিংহভাগই রয়েছে চা বলয়ে। এই এলাকাগুলিতে যাতায়াতের জন্য অতিরিক্ত গাড়ির ব্যবস্থা থাকছে। জেলায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা আয়োজনে সহ-অহ্বায়ক অমিত সাহা বলেন, ‘‘শহর হোক বা গ্রাম, সব জায়গাতেই অতিরিক্ত সরকারি বাস থাকবে। কিছু জায়গায় ছোট গাড়ির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।’’
মালবাজারের কিছু কেন্দ্রে মেটাল ডিটেক্টর গেট বসানো হবে। মালবাজারের এসডিপিও দেবাশিস চক্রবর্তী জানান, স্কুলের বাইরে দু’টি এলাকাতেই বিশেষ নিরাপত্তার জন্যে পুলিশ কর্মীরা থাকবেন। ওসিরা সেই নিরাপত্তার তদারকি করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy