Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

ক্ষতিপূরণ পাননি নির্যাতিতা তরুণী

ধূপগুড়ির নির্যাতিতা আদিবাসী মহিলার শারীরিক অবস্থা রবিবার অনেকটাই স্বাভাবিক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগেই এখন তাঁর চিকিৎসা চলছে। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা এদিনও তাঁর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছেন বলে খবর হাসপাতাল সূত্রে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

অনির্বাণ রায় ও অর্জুন ভট্টাচার্য
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:০১
Share: Save:

ধূপগুড়ির নির্যাতিতা আদিবাসী মহিলার শারীরিক অবস্থা রবিবার অনেকটাই স্বাভাবিক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগেই এখন তাঁর চিকিৎসা চলছে। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা এদিনও তাঁর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছেন বলে খবর হাসপাতাল সূত্রে।

সরকারি ভাবে এ দিন পর্যন্ত এই নির্যাতিতা আদিবাসী গৃহবধূর পরিবারকে কোনও আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সরকারি আইন সহ উচ্চ আদালতের নির্দেশে এই ধরনের ঘটনায় আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা উল্লেখ থাকার পরও কেন হতদরিদ্র এই নির্যাতিতা আদিবাসী গৃহবধূকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে না? আদিবাসী অধিকার রক্ষা মঞ্চ সহ বিভিন্ন নারী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে দ্রুত নির্যাতিতা আদিবাসী গৃহবধূকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের কোনও পদস্থ কর্তাই প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি।

তবে আইনজীবীরা এই প্রসঙ্গে বলেন, সাজা ঘোষণা করা না হলে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কোনও আইন আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই বিষয়ে সরকারি আইনজীবী সিন্ধু রায় বলেন, ‘‘এই ধর্ষণের মামলায় পুলিশ ইতিমধ্যেই দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে ঠিকই। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিচারে অভিযুক্তদের দোষ প্রমাণ হয়নি। দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করার পরে আদালত এই বিষয়ে নির্যাতিতাকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়।’’ পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী অধিকার মঞ্চের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক রামলাল মুর্মু এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমরা নির্যাতিতা আদিবাসী মহিলার পরিবারের সদস্যদের জন্য দ্রুত আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তুলেছি। তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের উপর দমন পীড়ন নিরোধক আইন(১৯৮৯) অনুযায়ী আমরা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছি। কিন্তু এই দাবি প্রশাসনের কাছে মান্যতা পায়নি।’’

গত শনিবার রাতে ধূপগুড়ির আদিবাসী গৃহবধূকে ধর্ষণের শিকার হতে হয়। অভিযোগ, গণধর্ষণের পর ওই গৃহবধূর শরীরে লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা গত রবিবার রাতে তাঁর অস্ত্রোপচার করেন। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাঁকে রক্ত দিতে হয়। হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করে তাঁর চিকিৎসা চলে। শনিবার ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট থেকে তাঁকে প্রসূতি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানান জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতাল সুপার গয়ারাম নস্কর। সুপার বলেন, ‘‘এখন অনেক ভাল আছেন ওই বধূ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Harassment Tribal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE