Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

২০টি কুকুর হত্যার শুনানি হয়নি আজও

আদালতে চার্জশিট জমা পড়েছে দু’বছর আগেই। কিন্তু দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলিতে একসঙ্গে ২০টি কুকুর হত্যা মামলার শুনানি এখনও শুরু হয়নি। ওই ঘটনায় তিন অভিযুক্তের মধ্যে দু’জন আদালতে পরে আত্মসমর্পণ করে। তবে এখন তারা জামিনে মুক্ত।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
হিলি শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:৩৫
Share: Save:

আদালতে চার্জশিট জমা পড়েছে দু’বছর আগেই। কিন্তু দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলিতে একসঙ্গে ২০টি কুকুর হত্যা মামলার শুনানি এখনও শুরু হয়নি। ওই ঘটনায় তিন অভিযুক্তের মধ্যে দু’জন আদালতে পরে আত্মসমর্পণ করে। তবে এখন তারা জামিনে মুক্ত।

জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের ২ মে সকালে হিলি সীমান্তের উজাল এলাকায় একসঙ্গে ২০টি কুকুরের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এলাকার তিন ব্যক্তিকে আগের রাতে (১ মে) ওই কুকরগুলিকে খাবার দিতে দেখেন বলে অভিযোগ করেন এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা। বিষ মেশানো খাবার খেয়েই কুকুরগুলির মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় এক মহিলার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ২ মে হিলি থানার পুলিশ অভিযুক্ত মিলন মণ্ডল, জুয়েল রানা এবং আয়েব নবি মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। জানা যায় অভিযুক্ত তিনজনই চোরাকারবারের সঙ্গে যুক্ত। ঘটনার পরই তারা পালিয়ে যায়। পরে দুই অভিযুক্ত আদালতে আত্মসমর্পণ করে। তাদের জেল হেফাজত হয়। বর্তমানে তারা জামিনে মুক্ত। জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘ওই বছর ৩১ জুলাই কুকুর হত্যার অভিযোগে ওই তিন জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয়েছিল।’’ বালুরঘাট জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী সুভাষ চাকী সোমবার বলেন, ‘‘ওই মামলাটি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। সাক্ষী শুনানি এখনও শুরু হয়নি।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, রাতে সীমান্তের ওপারে পাচারের সময় এলাকার কুকুরগুলি চিৎকার করত। তাতে স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিএসএফ সতর্ক হয়ে যেত। সেই কারণে অভিযুক্তরা খাবারে বিষ মিশিয়ে কুকুরগুলিকে মেরে ফেলে বলে অভিযোগ ওঠে। এক রাতে ২০টি কুকুর হত্যার অভিযোগে ঘটনায় বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠনের পক্ষ থেকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

এ দিন জেলা পশুক্লেশ নিবারণ কমিটি সদস্য বিশ্বজিৎ বসাক বলেন, ‘‘মৃত কুকুরগুলির নাকমুখে রক্ত ছিল। সেই সময় তিনটি মৃত কুকুরের দেহাংশ সংরক্ষণ করে বেলগাছিয়ার পশু ফরেন্সিক বিভাগে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ওই রিপোর্ট আদালতে পেশ হওয়ার কথা।’’ সরকারি আইনজীবী সুভাষ চাকী বলেন ‘‘নথি না দেখে বলা যাবে না।’’

হিলি সীমান্তের কাঁটাতারবিহীন উজাল এলাকার চোরাপথ দিয়ে ওপারে জিরে, কাশির সিরাপ, কচ্ছপ, গরু পাচার হয় বলে অভিযোগ। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা চুরি-ডাকাতি রোধে দুষ্কৃতীদের গতিবিধি টের পেতে পাড়ায় পাড়ায় দেশি কুকুর পোষেন বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, অভিযুক্তেরা বিষ মেশানো মুড়ির সঙ্গে রসগোল্লা রস মাখিয়ে ওই কুকুরগুলিকে খাইয়ে মেরে ফেলেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE