ভগ্ন: ধসে বিপন্ন উত্তর সিকিমের চুংথাং এলাকার রাস্তা। নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এবং বঙ্গোপসাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্পের জন্য সিকিম এবং উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে মঙ্গলবারও বৃষ্টি অব্যাহত। শিলিগুড়ি থেকে সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক খোলা থাকলেও, রাস্তার অবস্থা ভাল নয়। উত্তর সিকিম এখনও বিপর্যস্ত। এ দিন দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারের কোথাও মাঝারি, কোথাও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসেও জানানো হয়েছে, আজ, বুধবার পর্যন্ত ভারী এবং বিক্ষিপ্ত অতি-ভারী বৃষ্টির দাপট চলবে উত্তরবঙ্গে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির দাপট কিছুটা কমবে। তবে হালকা, মাঝারি বৃষ্টি চলতে পারে উত্তরবঙ্গ জুড়েই।’’
উত্তর সিকিমে প্রবল বৃষ্টির জেরে কয়েকটি জায়গায় ধস নেমেছে। মূলত, সিকিমে রাস্তায় ধসের ফলে সমতলে নামতে অনেকটাই সময় বেশি লাগছে। সোমবার ৪৫ জন যাত্রী ট্রেন, বাস ও বিমানের নির্দিষ্ট সময়ে শিলিগুড়ি পৌঁছতে পারেননি। রাত সওয়া ১১টা নাগাদ তাঁরা শিলিগুড়ি পৌঁছন। পর্যটকদের জন্য বিশেষ বাসের বন্দোবস্ত করেন এনবিএসটিসি কর্তৃপক্ষ।
দার্জিলিং, কার্শিয়াংগামী ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়ক, রোহিণী রোড এবং পাঙ্খাবাড়ি রোড খোলা থাকলেও, জায়গায় জায়গায় পাহাড় থেকে পাথর, কাদা, মাটি নামছে। বৃষ্টি চলায় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। সিকিমের ‘লাইফ লাইন’ এবং কালিম্পঙে যাতায়াতকারী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের ১৯, ২০ এবং ৩২ মাইলের পরিস্থিতি ভাল নয়। সিকিমের দিকে রংপো থেকে রানিপুল পর্যন্ত পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। উত্তর সিকিমের চুংথাং, লাচেন এবং লাচুং পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। লাচুং এলাকায় রাস্তা বন্ধ থাকায় কিছু হোটেলে পর্যটকেরা আছেন। তবে সবাই সুরক্ষিত। দক্ষিণ সিকিমের নামচি, ওয়াংওয়াং-র দিকেও খারাপ অবস্থা।
এ দিন সকালে সিকিমে যাওয়া দক্ষিণবঙ্গের একটি সাত জনের মোটরবাইক-দলের খোঁজ মিলছিল না। পরে, দলটি গ্যাংটকে সুরক্ষিত ভাবে পৌঁছয়। পর্যটন সংগঠনের কর্তা সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘সিকিম তো বটেই, পাহাড়ের রাস্তার পরিস্থিতি খুব বাজে হয়ে রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy