অবশেষে জীবিত ফিরে পেলেন ‘জীবনের স্বীকৃতি’! আনন্দবাজার ডট কমে খবর প্রকাশের পরেই তৎপর হল প্রশাসন। জন্ম-মৃত্যু পোর্টালে ভুলবশত ‘মৃত’ ঘোষিত হওয়া ধূপগুড়ির প্রধানপাড়া এলাকার বধূ শম্পা রায়ের পরিচয় অবশেষে সংশোধিত হয়েছে। প্রশাসনিক পদক্ষেপে সরকারি নথিতে তাঁকে আবারও ‘জীবিত’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
গত ছ’মাস ধরে দুর্ভোগের শিকার হয়েছিলেন শম্পা। অভিযোগ, জন্ম-মৃত্যু পোর্টালে ভুল রেকর্ডের জেরে বন্ধ ছিল তাঁর লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা, রেশন কার্ড পরিষেবা এবং আধার সংক্রান্ত নথিপত্রের আপডেট। একাধিক বার গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও সমাধান মেলেনি বলে অভিযোগ করেন শম্পা। অবশেষে আনন্দবাজার ডট কমে খবর প্রকাশিত হতেই দ্রুত ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন।
সূত্রের খবর, বেশ কয়েক মাস আগে সরকারের জন্ম-মৃত্যু পোর্টালে নিজের নাম আপডেট করাতে তাঁর গ্রাম পঞ্চায়েতের দফতরে গিয়েছিলেন শম্পা। সেখান থেকে দুর্ভোগের শুরু। ভুলবশত তাঁর নাম উঠে যায় মৃতদের তালিকায়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় রেশন এবং লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা-সহ সরকারের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা।
শম্পা বলেন, “আজ সত্যিই মনে হচ্ছে আবার বেঁচে উঠেছি। ছয় মাস ধরে আমি বেঁচে থেকেও মৃত ছিলাম সরকারের চোখে। এখন আশা করছি, আবার লক্ষ্মীর ভান্ডার ও রেশন পাব।” গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সাইরুল হক বলেন, ‘‘খবরের মাধ্যমে জানতে পারি শম্পার এই পরিস্থিতির কথা। এর পরেই ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত তাঁর সমস্যার সমাধান করেছি আমরা। তিনি সমস্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধা আবার পাবেন। পাবেন লক্ষ্মীর ভান্ডারও।’’