Advertisement
E-Paper

দাড়িভিট স্কুল খুলতে তৃণমূলের মিছিলে ভিড়

স্কুলের তালা ঝোলানোয় ফের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে দাড়িভিট স্কুলের পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে। রবিবার স্কুল খোলানোর দাবিতে তৃণমূলের একটি মিছিলও হয় এলাকায়। যে মিছিলে সামিল হতে দেখা গিয়েছে অভিভাবকদের অনেককে। সোমবার বেলা সাড়ে দশটায় সমস্যা নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডেকেছে মহকুমা প্রশাসন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:২৯
সুনসান: দাড়িভিট স্কুল চত্বর। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

সুনসান: দাড়িভিট স্কুল চত্বর। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

স্কুলের তালা ঝোলানোয় ফের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে দাড়িভিট স্কুলের পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে। রবিবার স্কুল খোলানোর দাবিতে তৃণমূলের একটি মিছিলও হয় এলাকায়। যে মিছিলে সামিল হতে দেখা গিয়েছে অভিভাবকদের অনেককে। সোমবার বেলা সাড়ে দশটায় সমস্যা নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডেকেছে মহকুমা প্রশাসন। মহকুমাশাসক তথা ওই স্কুলের প্রশাসক মনীশ মিশ্র বলেন, ‘‘সমস্যা নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছে। দেখা যাক, সেখানে থেকে কী সমাধান উঠে আসে।’’

দাড়িভিট কাণ্ডের পরে এলাকায় বিজেপি নিজেদের পায়ের তলায় মাটি শক্ত করেছে। তৃণমূল এতটাই পিছিয়ে পড়ে যে, তাদের নেতামন্ত্রীরা এলাকায় গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়েন। সেই থেকে এলাকায় কোনও কর্মসূচি নিতে পারেনি তৃণমূল। সেদিক থেকে এ দিন তৃণমূলের ওই মিছিল তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই। এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সুবোধ মজুমদার, তৃণমূল কর্মী শান্তিরঞ্জান বিশ্বাসদের নেতৃত্বে এদিন মিছিল হয়। ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাঁরা স্কুল খোলানোর দাবি তুলেছেন। সুবোধবাবু বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে যাতে রাজনীতি না হয়, সেই দাবি করা হয়েছে। এই স্কুলে যারা পড়ে তারা স্থানীয় ছেলেমেয়ে। তাদের ভবিষ্যতের কথা এলাকার বাসিন্দাদের ভাবতে হবে।’’ বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ দাড়িভিট বাজারে মিছিল করেন শতাধিক লোক। তাতে কিছুটা চিন্তায় পড়েছে বিজেপি। আজ, সোমবার স্কুলে যাবেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয়, সে দিকেই তাকিয়ে তাঁরা।

তাঁদের দাবি পূরণ হয়নি, অভিযোগ তুলেই গত শুক্রবার স্কুলে তালা ঝুলিয়েছিল নিহত রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মণের পরিবারের সদস্যরা। সেদিন পরীক্ষার জন্য তালা খুলে দিলেও স্কুল ছুটি হতেই ফের তালা ঝুলিয়েই দেন। বন্ধ হয়ে পড়ে স্কুল। রবিবার অবশ্য গেটের কাছে অবস্থানে দেখা যায়নি ওই দুই পরিবারের সদস্যদের। নিহত তাপসের বাবা বাদলবাবু বলেন, ‘‘সোমবার ফের স্কুলের গেটের সামনে অবস্থানে বসব। স্কুলের বিষয়টি প্রশাসন বুঝবে।’’

স্কুল সূত্রে খবর, মাধ্যমিকের টেস্টের ফল বেরিয়ে গিয়েছে। তাদের ফর্ম ভর্তির কাজ চলছিল। তা বোর্ড অফিসে পাঠানোর কথা রয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকের ফল বের হওয়ার কথা ছিল শনিবার। পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ফল ঘোষণা করার কথা আগামী ২৮ ডিসেম্বর। তার পরই নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর কথা। এই ভাবে চলতে থাকলে তাতেও ব্যাঘাত ঘটবে বলেই দাবি প্রত্যেকেরই।

গত নভেম্বরেও স্কুল খোলাতে সর্বদল বৈঠক ডেকেছিল প্রশাসন। আগের দিন নিহত দুই পরিবার মোমবাতি মিছিল করে জানিয়েছিল ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই শর্ত সাপেক্ষে স্কুলের চাবি প্রশাসনের হাতে তুলে দেবেন। বিজেপির উত্তর দিনাজপুরের জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেন বলেন, ‘‘সর্বদল নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে প্রশাসনের উচিত ছিল আগে নিহত দুই পরিবারের সঙ্গে আলোচনায় বসা।’’ সিপিএম এর ইসলামপুর এক এলাকা কমিটির সম্পাদক বিকাশ দাস জানান, দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় যে রাজনীতি হচ্ছে তা কাম্য নয়। ইসলামপুরের বিধায়ক কানাইয়ালাল অগ্রবাল জানান, সর্বদল বৈঠকে তিনি থাকতে না পারলেও প্রতিনিধি থাকবেন। গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানি কথায়, ‘‘স্কুল বন্ধ থাকলে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের ক্ষতি হবে।’’

Darivit High School TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy