প্রতীকী ছবি।
এক শয্যায় দু’জন। ঠাঁই নেই অবস্থা মেঝেতেও। তাই বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিৎসা চলছে রোগীদের। এমনই অবস্থা খোদ মালদহ মেডিক্যালে। ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে জেলা জুড়ে। বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপও। ইতিমধ্যে জেলার দুই পুরসভা-সহ জেলা জুড়ে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত দুশোরও বেশি রোগী। সেই সঙ্গে মেডিক্যাল কলেজে দৈনিক জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হওয়ার রোগীর রক্তে মিলছে ডেঙ্গির জীবাণু। ফলে পুজোর মুখে ডেঙ্গির আতঙ্কে ভুগছেন সাধারণ মানুষ।
যদিও বিগত বছরের তুলনায় এ বার জেলাতে ডেঙ্গির আক্রান্তের সংখ্যা কম বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৈয়দ শাহাজান নিজাম বলেন, “পুরসভা, পঞ্চায়েতের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে ডেঙ্গি মোকাবিলা করা হচ্ছে। সব ব্লকে নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা নিয়মিত পরিদর্শন করছেন।” সবাইকে সচেতনও করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল এক হাজারেরও বেশি। চলছি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭৭ জন। মেডিক্যাল কলেজ, ব্লক হাসপাতাল, নার্সিংহোম গুলিতে হু হু করে বাড়ছে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। শুধু মেডিক্যাল কলেজেই পুরুষ এবং মহিলা মিলে প্রায় দু’শতাধিক রোগী জ্বর নিয়ে ভর্তি রয়েছেন।
পুরুষ ও মহিলা মেডিসিন বিভাগে ৫৫ জন করে রোগী থাকতে পারবেন। তবে ইতিমধ্যে পুরুষ মেডিসিন বিভাগে ভর্তি রয়েছে ১২৬ এবং মহিলা বিভাগে প্রায় ১০০ জন। পরিকাঠামোর দ্বিগুণ রোগী ভর্তি হওয়ায় সকলকে শয্যা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। রোগীর আত্মীয় স্বপন বিশ্বাস, মীনা ঘোষেরা বলেন, “দু’দিন জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে নিয়ে বারান্দায় রয়েছি। মেডিক্যাল কলেজ হলেও বাড়ানো হয়নি শয্যার সংখ্যা। তাই এই অবস্থা।” মেডিক্যালের সুপার তথা-সহ অধ্যক্ষ অমিতকুমার দাঁ বলেন, “রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা করা হচ্ছে। আমরা পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy