E-Paper

এপ্রিল থেকেই জলপাইগুড়ি থেকে গুঁড়ো চা নিলাম

চা পাতার অভাবে জলপাইগুড়ি নিলাম কেন্দ্র বন্ধ হয়ে রয়েছে। সম্প্রতি জলপাইগুড়ি নিলাম কেন্দ্রের পুনরুজ্জীবনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে চা পর্ষদ প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল। একটি কমিটিও গড়া হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৪ ০৮:৪৭
—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, গুঁড়ো চা বিক্রি শুরু হতে চলেছে জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্রে। জলপাইগুড়ি নিলাম কেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে পরিকাঠামোগত সংস্কারের প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে মৌখিক ভাবে জানিয়েছে চা পর্ষদ। চা পর্ষদের অন্যতম এক শীর্ষ কর্তার কথায়, “সম্প্রতি নিলামের বিষয়ে গঠিত কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের কোনও নিলাম কেন্দ্রকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হবে না। এপ্রিল থেকে গুঁড়ো চায়ের একশো শতাংশ নিলাম শুরু হচ্ছে। সব কেন্দ্রের উপরে চাপ বাড়বে। তা ছাড়া, জলপাইগুড়ি নিয়ে পর্ষদের রিপোর্টও নেতিবাচক নয়। নিলাম কেন্দ্রের পরিচালন সমিতির সঙ্গে মৌখিক কথা হয়েছে।”

জলপাইগুড়ি নিলাম কেন্দ্র সূত্রের খবর, পরিকাঠামোগত সংস্কার অনেকটাই করতে হবে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় একটিও কম্পিউটার কাজ করে না বলে অভিযোগ। ঘরটিও ভেঙেচুরে গিয়েছে। অন্তত মাস দুয়েকের আগে, সব কিছু ঠিকঠাক করা সম্ভব নয়। এ দিকে, লোকসভা ভোটের দোরগোড়ায় জলপাইগুড়ির নিলাম কেন্দ্র নিয়ে আশার খবরে রাজনৈতিক কৃতিত্ব নেওয়ার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, একাধিকবার বিদায়ী সাংসদ জয়ন্ত রায় কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের কাছে জলপাইগুড়ির কেন্দ্র ফের চালু করার আর্জি নিয়ে দরবার করেছেন। অন্য দিকে, তৃণমূলের দাবি, কেন্দ্রের দীর্ঘসূত্রিতার জন্যই জলপাইগুড়ি কেন্দ্রের এই হাল।

মূলত, চা পাতার অভাবে জলপাইগুড়ি নিলাম কেন্দ্র বন্ধ হয়ে রয়েছে। সম্প্রতি জলপাইগুড়ি নিলাম কেন্দ্রের পুনরুজ্জীবনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে চা পর্ষদ প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল। একটি কমিটিও গড়া হয়েছে। সেই কমিটি জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে ফের নিলাম শুরুর প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু তাতেও কোথা থেকে চা পাতা আসবে, সেই সংশয়ের অবসান হয়নি। এই পরিস্থিতিতে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রের জন্য সহায়ক হয়েছে চা পর্ষদের একটি নীতি। আগামী এপ্রিল থেকে দেশে উৎপাদিত গুঁড়ো চায়ের সবটুকু নিলাম কেন্দ্রের মাধ্যমেই বিক্রি করতে হবে। উত্তরবঙ্গের উৎপাদিত গুঁড়ো চায়ের সবটুকু শিলিগুড়ি বা কলকাতা নিলাম কেন্দ্রের মাধ্যমে এই মুহূর্তে বিক্রি করা সম্ভব নয় বলে দাবি। সে কারণে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়তে চলেছে বলেই ধারণা।

চা পর্ষদের সদস্য তথা জলপাইগুড়ি নিলাম কেন্দ্রের অন্যতম প্রধান পুরজিৎ বক্সীগুপ্ত বলেন, “আমরা খুবই আশাবাদী। তবে এখনও লিখিত কিছু পাইনি।” জলপাইগুড়ি কেন্দ্রের পরিচালন সমিতির সদস্য বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “খুশির খবর আসছে। আমরা পরিকাঠামো সংস্কার করতে প্রস্তুত।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Jalpaiguri

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy