E-Paper

‘পড়তে চাই’ শুনেই এগিয়ে আসেন আইআইটি-র প্রাক্তনী

মাস তিনেক হল প্রত্যেক পড়ুয়াকে দেড় হাজার টাকা করে পাঠাচ্ছেন তিনি। এ বার জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ রতিকান্তকে আমন্ত্রণ জানায় জলপাইগুড়িতে আসার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:৩১
দুঃস্থ পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছেন রতিকান্ত।

দুঃস্থ পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছেন রতিকান্ত। —প্রতীকী চিত্র।

দ্বাদশ শ্রেণিতে ‘ফেল’ করেও লড়াই করে আইপিএস হয়েছেন, সেই গল্প জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপারের মুখে শুনে এক ছাত্রী হলঘরের শেষ আসন থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বলেছিল, “স্যর, আমিও পড়তে চাই।”

কিন্তু তাকে পড়ানোর আর্থিক সঙ্গতি নেই পরিবারের। মাস পাঁচেক আগের সেই অনুষ্ঠানের খবর সংবাদপত্রে পড়েছিলেন সল্টলেকের বাসিন্দা, আইআইটি খড়্গপুরের প্রাক্তনী রতিকান্ত ঘোষ। তার পরেই তিনি যোগাযোগ করেন জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার উমেশ গণপত খণ্ডবহালের সঙ্গে। প্রস্তাব দেন, দুঃস্থ পড়ুয়াদের জন্য কিছু করতে চান। জেলা পুলিশ পাঁচ জন পড়ুয়ার বিবরণ পাঠায় পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ও বেসরকারি সংস্থার কর্ণধার রতিকান্তকে। মাস তিনেক হল প্রত্যেক পড়ুয়াকে দেড় হাজার টাকা করে পাঠাচ্ছেন তিনি। এ বার জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ রতিকান্তকে আমন্ত্রণ জানায় জলপাইগুড়িতে আসার।

শুক্রবার জলপাইগুড়িতে এসেছিলেন রতিকান্ত। তিস্তা উদ্যানে পাঁচ দুঃস্থ পড়ুয়া এবং তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখাও করলেন। পড়ুয়াদের বললেন, “তোমরা জীবনে পড়াশোনা করে স্বনির্ভর হলে সেটাই হবে আমার উপহার। সৎ থেকো। যাকে ইচ্ছে চিঠি লিখো, চিঠিতে মনের কথা জানানো যায়।” পুলিশ সুপার বললেন, “আন্তরিকতার সঙ্গে নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকো, সাফল্য আসবেই। বিশ্বটা তোমাদের মতো, আমাদের মতো সবার জন্যই।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

study Help money

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy