E-Paper

বুকে পলি, অবৈধ বালি খাদানে উপচে যাচ্ছে উত্তরের নদী

সিনেমায়, সাহিত্যে যে তিস্তার প্রবাহ বয়ে চলে, সে তিস্তা দিন কয়েক আগের বিপর্যয়ের তুলনামূলক কম ধাক্কাটুকুও সইতে পারল না।

অনির্বাণ রায়

শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:২৩
মূর্তি নদীতে পরে গাছেরগুড়ি নদী পারে ধস।

মূর্তি নদীতে পরে গাছেরগুড়ি নদী পারে ধস। ছবি দীপঙ্কর ঘটক।

সাম্প্রতিক প্রবল বৃষ্টি এবং পাহাড় থেকে নেমে আসা জলের তোড়ে দানবীয় চেহারা ধরেছিল নদী। প্রকাণ্ড গাছ পাহাড় থেকে উপড়ে নিয়ে চলেছিল। গাছের বড় শরীরটা যখন জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা সেতুর কাছাকাছি এসেছে, তখনই জল কমে মূর্তি নদী শান্ত হয়েছে। বয়ে আনা গাছ, পলি, পাথর বুকে রেখে এক পাশে সরু হয়ে চলে গিয়েছে। সে দিকে আঙুল তুলে পানঝোড়া বসতি লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা শশী রাই বলছিলেন, “গাছ এবং পলি নদীখাত উঁচু করবে। ফের ভারী বৃষ্টি হলে অথবা পাহাড় থেকে হুড়মুড়িয়ে জল নামলে জল উপচে ভাসিয়ে দেবে দুই পারের জঙ্গল, জমি, গেরস্থালি।” শুধু মূর্তি নয়, ডুয়ার্সের, পাহাড়ের তথা উত্তরবঙ্গের সব নদীর ছবি একই রকম বলে দাবি নদীর পারের বাসিন্দাদের। অথচ, পরিস্থিতির দায় কেউ নিতে চায় না।

সিনেমায়, সাহিত্যে যে তিস্তার প্রবাহ বয়ে চলে, সে তিস্তা দিন কয়েক আগের বিপর্যয়ের তুলনামূলক কম ধাক্কাটুকুও সইতে পারল না। এ কথা সেচ দফতরের অন্দরের। গত ৪ অক্টোবর বিপর্যয়ের পরে বিশেষজ্ঞেরা নদীগুলির ক্ষয়ক্ষতি বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, জলঢাকা, তোর্সার মতো কয়েকটি নদীর তুলনায় তিস্তার কোথাও পাড় ভাঙেনি। তবে উপচে দু’পাশের বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

অথচ, গত ৪ অক্টোবরের রেকর্ড ভাঙা অতিবৃষ্টি এবং ভুটান থেকে জল নেমে আসা সীমাবদ্ধ ছিল ডুয়ার্স-আলিপুরদুয়ার-কোচবিহারে। তিস্তায় নেমেছিল সিকিমের জল। তবে তা ভুটানের মতো প্রবল ছিল না এ বছর। গজলডোবা ব্যারাজ থেকে কেবল

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Jalpaiguri

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy