তছনছ সন্দেশখালির গ্রাম
হঠাৎই কয়েক সেকেন্ডের তীব্র ঝড়। যার জেরে তছনছ হয়ে গেল কার্যত গোটা গ্রামই। ২০ সেকেন্ড মতো স্থায়ী থাকা ওই ঝড়ে ভাঙল বহু ঘরবাড়ি, গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি। শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি সরবেড়িয়া আগারটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আছড়ে পড়েছে ওই ঝড়। গ্রাম লন্ডভন্ড হওয়ার খবর পেয়েই বৃষ্টিমাথায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান সন্দেশখালি-১ ব্লক তূণমূল সভাপতি তথা সন্দেশখালির পর্যবেক্ষক শেখ শাহজান। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আশ্রয়হীনদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকারও আশ্বাস দেন।
স্থানীয়দের বক্তব্য, মাত্র ২০ সেকেন্ডের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে সন্দেশখালির বিস্তীর্ণ এলাকা। ভেঙে পড়েছে একাধিক বাড়ি। নিম্নচাপের বৃষ্টির মধ্যে গৃহহারা অনেকে। তাঁদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, অতীতে সন্দেশখালি ও সংলগ্ন এলাকায় ‘মিনি টর্নেডো’-এর জেরে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ আরও শক্তি বাড়িয়েছে। তার জেরে শুক্র ও শনিবার ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ নিম্নচাপটি বালেশ্বরের দক্ষিণ-পূর্বে প্রায় ২০০ কিমি দূরে অবস্থান করছে। শুক্রবার রাতের দিকে সেটি ওড়িশার বালেশ্বর এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী কোনও স্থান দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। স্থলভাগে ঢোকার পরে নিম্নচাপটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড এবং পরে ছত্তীসগঢ়ের দিকে এগিয়ে যাবে। তারপর ক্রমশ দুর্বল হয়ে যাবে।
দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হতে পারে। বজ্রপাতের সময় বাসিন্দাদের নিরাপদে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে জোরে হাওয়া বইতে পারে। নিম্নচাপের জেরে উত্তাল হতে পারে সমুদ্র। মৎস্যজীবীদের ১৯ এবং ২০ তারিখ সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। শনিবার বিকালের পর আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে জানা গিয়েছে হাওয়া অফিস সূত্রে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy