Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
CORONAVIRUS

হার কমছে সংক্রমণের তবুও সতর্ক

বিশেষজ্ঞদের দাবি, সংক্রমণের হার এখন যেখানে কমেছে, সেখানে দিন কয়েক পর ফের বাড়তেও পারে। তাই দূরত্ব বিধি, স্বাস্থ্য বিধি সব সময় মেনে চলতেই হবে।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

সৌমিত্র কুণ্ডু
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৬:৫০
Share: Save:

রাজ্যে বেশিরভাগ জেলাতেই করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির হার কমেছে বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের। হাতে গোনা চারটি জেলা কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পুরুলিয়া বাদে। স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্রেই জানা গিয়েছে, অগস্টের শুরু থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে সংক্রমণ বৃদ্ধির যে হার দেখা হয়েছে, তাতে গত সপ্তাহে এই পরিস্থিতিতে এসেছে। নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধিতেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে। নমুনা শুধু কন্টেনমেন্ট জ়োন থেকে সংগ্রহ না করে বিভিন্ন জায়গা থেকে সামঞ্জস্য রেখে নেওয়া শুরু হয়েছে। সেটাও সংক্রমণের হার কিছুটা কমে যাওয়ার কারণ বলে স্বাস্থ্য দফতরের অনেকের ধারণা। তবে জেলাগুলির বাস্তব চিত্র কী, সেই প্রশ্ন উঠছেই। বিশেষজ্ঞদের দাবি, সংক্রমণের হার এখন যেখানে কমেছে, সেখানে দিন কয়েক পর ফের বাড়তেও পারে। তাই দূরত্ব বিধি, স্বাস্থ্য বিধি সব সময় মেনে চলতেই হবে।
স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, দক্ষিণ দিনাজপুরের মতো জেলাগুলিতে অগস্টের একটা সময়ে মারাত্মক হারে সংক্রমণ বাড়ছিল। এখন তা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। করোনা নিয়ন্ত্রণের রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপালকৃষ্ণ ঢালি বলেন, ‘‘নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা আগের থেকে অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাতে কনট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের কাজ ভাল হচ্ছে। সংক্রমিতদের দ্রুত আলাদা করে দিতে পারায় সংক্রমণ কিছুটা কমেছে।’’ তবে তিনি জানান, রেড জ়োন বা কন্টেনমেন্ট জ়োন অর্থাৎ যে এলাকাগুলিতে সংক্রমণ বেশি হচ্ছে, সেখান থেকেই নমুনা সংগ্রহের উপর জোর দেওয়া হত। তাতে সংক্রমণের মাত্রা অনেকটাই বেশি হত। সার্বিক প্রকৃত অবস্থা বোঝা যেত না। তাই ওই এলাকা বা তার সংলগ্ন বাফার জ়োন এলাকাই নয়, বিভিন্ন এলাকা থেকে সামঞ্জস্য রেখে লালা সংগ্রহের কথা জানানো হয়েছে। তাতে সার্বিক অবস্থাটা জানা যাবে। অন্যান্য এলাকায় সংক্রমণ ছড়াচ্ছে কিনা, সেটা কিছুটা আন্দাজ করা সম্ভব হবে।
তবে দক্ষিণ দিনাজপুরের মতো জেলায় সংক্রমণ অনেকটাই বাড়ছে বলে স্থানীয় চিকিৎসকদের মত। মাঝে রোজ আটশো-হাজার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছিল। ফের তা কমে গড়ে আড়াইশো হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। তবে অ্যান্টিজেন টেস্ট যাদের করা হচ্ছে, তাদের ক্ষেত্রে পজ়িটিভ কম মিলছে। তাই স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্রে মেলা ওই তথ্য পরিসংখ্যানে অনেকেই সম্পূর্ণ নির্ভর করতে পারছেন না।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি রিসার্চ অ্যান্ড ডায়গন্যাস্টিক ল্যাবরেটরির অন্যতম আধিকারিক তথা মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান অরুণাভ সরকার জানান, নমুনা কোন এলাকা থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘‘দূরত্ব বিধি, মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে। বেশি পরীক্ষার উপর জোর দিতেই হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Department
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE