বালুঘাটের বিডিও অনুজ শর্মা জানান, রোদ-বৃষ্টি এড়াতে এ দিন থেকে অফিস চত্বরে ছাউনি, বৈদ্যুতিক পাখা ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফাইল চিত্র।
ডিজিটাল রেশন কার্ড করাতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে শুক্রবার সকালে বালুরঘাটে এক গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। প্রশাসনিক অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে রাতেই সরব হয়েছিল বাম এবং বিজেপি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বালুরঘাট বিডিও অফিস চত্বরে শেড তৈরি করে ছ’টি কাউন্টার খুলে বাসিন্দাদের সুষ্ঠু পরিষেবার ব্যবস্থা করল ব্লক প্রশাসন। গ্রামবাসীদের জন্য পানীয় জল ও বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবস্থাও করা হয়।
শুক্রবার সন্ধেতেই মুখ্যমন্ত্রী বালুরঘাটের জলঘর অঞ্চলের মৃত ওই গ্রামবাসী মন্টু সরকারের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এ দিন নবান্নের নির্দেশ পেয়েই মৃতের বাড়ি জলঘর অঞ্চলের পলাশডাঙা এলাকায় যান বিডিও দফতরের অফিসার ও কর্মীরা। হতদরিদ্র পরিবারের অসহায় মন্টুর স্ত্রী মজিদা ও তাঁর দুই ছেলেকে তাঁরা সান্ত্বনা দিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। অসহায় ওই পরিবারের জন্য বিডিও অফিস থেকে চাল-ডাল, শাড়ি-কাপড় ও ত্রিপল দেওয়া হয়।
এনআরসি আতঙ্ক-আবহের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরের ৮টি ব্লকে খাদ্যসাথী প্রকল্পে শুরু হয়েছে ডিজিটাল রেশন কার্ড সংশোধন ও নতুন কার্ড তৈরির আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া। এনআরসির জন্য ওই কার্ড করানো অত্যন্ত জরুরি বলে ভেবে অনেকে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। কোথাও কোথাও ব্লকে ভোররাত থেকে সংশ্লিষ্ট বিডিওর কার্যালয় গুলিতে গিয়ে লাইন দেন। বিডিওর দফতরের অল্প পরিসরে গাদাগাদি করে ঠা ঠা রোদে অনেকক্ষণ ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে একাধিক ব্লকে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বালুরঘাটের বাম বিধায়ক বিশ্বনাথ চৌধুরীর বক্তব্য, রেশন কার্ড নিয়ে ওই সরকারি প্রক্রিয়া শুরুর আগে জেলা প্রশাসনকে জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করতে হতো। এনআরসি নিয়েও সচেতনতা প্রচার করা উচিত ছিল। কোনওটাই হয়নি। গ্রাম পঞ্চায়েত-ভিত্তিক ওই কর্মসূচি চালুর দাবি জানান বিশ্বনাথ। বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার অভিযোগ করেন, বিডিও অফিসে একটি কাউন্টার থেকেই ফর্ম দেওয়া-নেওয়ার কাজ শুরু হয়। এতে গোটা একটা ব্লকের লাইনে দাঁড়িয়ে চরম ভোগান্তি হচ্ছে লোকজনের। তৃণমূল সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ জানান, উপভোক্তাদের স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থা করে একাধিক কাউন্টার চালু করতে বলা হয়েছে।
এ দিন বালুঘাটের বিডিও অনুজ শর্মা জানান, রোদ-বৃষ্টি এড়াতে এ দিন থেকে অফিস চত্বরে ছাউনি, বৈদ্যুতিক পাখা ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছ’টি কাউন্টার চালু করে দ্রুত কাজ হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy