প্রতীকী ছবি।
লক্ষ্য একই। বাড়ি বাড়ি গিয়ে দুয়ারে সরকার কর্মসূচির প্রচার করা, সমস্যা নিরসনে শিবিরে হাজির হওয়ার বার্তা দেওয়া। কিন্তু সেই প্রচার অভিযান ঘিরেই ঘিরেই সামনে এল তৃণমূলের দ্বন্দ্ব। চাঁচল ১ ব্লকে।
চাঁচল ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে পদ বিক্রি করার অভিযোগের রেশ না কাটতেই এবার চাঁচল ১ ব্লকে যুব তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এল রবিবার। এ দিন যুব সভাপতি ও সহ সভাপতির পৃথক কর্মসূচিকে ঘিরে তৈরি হয় উত্তেজনাও। সভাপতির গোষ্ঠী তাঁদের মিছিল ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন বিপক্ষের নেতাকর্মীরা। সব ঠিক থাকলে কয়েক মাসের মধ্যেই বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। সে জন্য মাসখানেক আগেই সমস্ত কমিটির মতো যুব সংগঠনকেও ঢেলে সাজানো হয়েছে। নতুন নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তবু দ্বন্দ্বের অভিযোগ ওঠায় উদ্বিগ্ন নেতৃত্ব। এতে মানুষের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছাবে বলেই মনে করছেন নিচুতলার নেতাকর্মীরা।
যদিও জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘দ্বন্দ্বের কিছু নেই।’’
যুব তৃণমূল সূত্রে খবর, এ দিন খরবা পঞ্চায়েতে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির জন্য এলাকায় প্রচারের সিদ্ধান্ত হয়। যুব-র সহ সভাপতি রাহানুল হকের নেতৃত্বে বিরাট বাইক মিছিল হয়। তাতে হাজির ছিলেন ব্লক যুব সম্পাদক আজাহারউদ্দিন চৌধুরী, ব্লকের সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান। অপরদিকে ব্লক যুব সভাপতি জয়ন্ত দাসের নেতৃত্বে পৃথক কর্মসূচিতে ছিলেন জেলা যুব-র সাধারণ সম্পাদক আক্রাম আলি, খরবার পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী তথা তৃণমূল নেতা মঙ্গলা শেখ। প্রথমে কর্মসূচি শুরু করে বাইক মিছিল ও পদযাত্রা শুরু করেন সহ সভাপতি রাহানুল হক। পরে সভাপতির নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়। এক সময় সহ সভাপতির মিছিলে ঢুকে সভাপতির লোকজন তা ভন্ডুল করার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ।
যুব-র সহ সভাপতি রাহানুল, সম্পাদক আজাহারউদ্দিন জানান, জেলা সভাপতির নির্দেশেই প্রচার অভিযান কর্মসূচি নেওয়া হয়। রাহানুল বলেন, ‘‘সভাপতিকে বলা হলেও আসেননি।’’
আর যুব সভাপতি জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘কে কি করেছে জানি না। আমরা সকলকে সঙ্গে নিয়েই প্রচার অভিযান কর্মসূচি চালিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy