প্রতীকী ছবি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খরচ কমানোর ডাকে সাড়া দিয়ে জ্বালানীর সাশ্রয়ে ফের একবার চালকদের পুরস্কৃত করার পথে হাটতে চলেছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম (এনবিএসটিসি)৷
নিগমের আলিপুরদুয়ার ডিপোতে এই ব্যবস্থা চালু হবে বলে নিগম সূত্রে খবর। ডিপোর সেরা চালকদের প্রতি মাসে পুরস্কার ও শংসাপত্র দেওয়ার সঙ্গে তাঁদের নামের তালিকা মাসভর ডিপোতে টাঙিয়ে রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংস্থার কর্তারা৷ সংস্থার কর্তাদের দাবি, চালকদের এই সম্মান জানানোর মাধ্যমেই মাধ্যমেই জ্বালানির সাশ্রয় অনেকটাই বাড়ানো সম্ভব হবে৷
সংস্থা সূত্রের খবর, জ্বালানীর সাশ্রয়ে এনবিএসটিসির বিভিন্ন ডিপোতে কয়েক বছর আগে থেকে নানা ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়৷ সেই সময় আলিপুরদুয়ার ডিপোতে সেরা চালকদের পুরস্কার প্রদানের এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল৷ কিন্তু মাঝে তা বন্ধ হয়ে যায়৷ সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর খরচ কমানোর ডাক ও পেট্রোপণ্যের লাগাম ছাড়া মূল্যবৃদ্ধির জেরে ফের তা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তারা৷
সূত্রের খবর, এনবিএসটিসি-র আলিপুরদুয়ার ডিপোতে এই মুহূর্তে ৬০টি বাস রয়েছে৷ যার মধ্যে প্রায় ৫০টি বাস নিয়মিত বিভিন্ন রুটে চলাচল করে৷ এই ৫০টি বাস চালাতে প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ৮০ হাজার লিটার ডিজেলের প্রয়োজন হয়৷ সে জন্য মাস দুই-তিন আগে খরচ হতো প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকা৷ কিন্তু এই দু-মাসে সেই খরচ ছয় লক্ষ টাকার বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে৷
আলিপুরদুয়ার ডিপোর কর্তাদের কথায়, জ্বালানির সাশ্রয়ে এমনিতেই অনেকটা সচেতন এই ডিপোর বাস চালকরা৷ এ জন্য চালকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করে আসছেন কর্তারা৷ এ ছাড়াও প্রতিদিন কত কিলোমিটার বাস তাঁরা চালাচ্ছেন, বা তাতে কী পরিমাণ ডিজেল খরচ হচ্ছে তা বাসের চালকদের লগবুকে উল্লেখ করতে হয়৷
সংস্থার এক কর্তার কথায়, ‘‘এ ধরনের নানা ব্যবস্থার ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে জ্বালানির সাশ্রয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছে আলিপুরদুয়ার ডিপো৷ বর্তমানে মাসে প্রায় দুই লক্ষ টাকারও বেশি সাশ্রয়ও করছে এই ডিপো৷’’
কিন্তু সাম্প্রতিক পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জেরে বেশ খানিকটা ধাক্কা খেয়েছে সংস্থা৷ হু হু করে ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় সংস্থার ব্যয়ও বেড়ে গিয়েছে৷ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যার প্রভাব পড়ার আশঙ্কাও করছেন সংস্থার অনেকেই৷ তাই দুই লক্ষ টাকার সাশ্রয়কে এখন পাঁচ লক্ষ টাকায় নিয়ে যেতে মরিয়া সংস্থার কর্তারা৷
নিগমের আলিপুরদুয়ার ডিপোর আধিকারীক অসিত ঠাকুর বলেন, ‘‘জ্বালানির সাশ্রয় বাড়াতে সেজন্যই আমরা ফের একবার প্রতি মাসে সেরা চালকদের পুরস্কার ও শংসাপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷’’ সংস্থার কর্তাদের দাবি, এর ফলে চালকদের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা বাড়বে৷ যাতে করে আখেরে লাভবান হবে সংস্থাই৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy