সোমবার, মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনে জলপাইগুড়ি জেলার বেলাকোবা কেবলপাড়া হাইস্কুলে ‘নকল করার’ একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল (তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার পত্রিকা)। মঙ্গলবার ওই স্কুলে ঢোকার আগে পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি চালানো হল। পরীক্ষার্থীদের জুতো-মোজা খুলিয়েও তল্লাশি চালানো হয়। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, কয়েক জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে নকল করার কাগজও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই স্কুলে দেওয়াল না থাকায়, এ দিন অস্থায়ী ভাবে বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পদস্থ আধিকারিকেরা ওই স্কুল পরিদর্শন করেছেন।
জলপাইগুড়ি সদরের মহকুমাশাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী এ দিন ব্লকের কয়েকটি স্কুল ঘুরে দেখার পরে বলেন, ‘‘পরীক্ষাকেন্দ্রে নিরাপত্তার কোথাও যেন কোনও খামতি না থাকে, তা দেখতে বলা হয়েছে।’’
অন্য দিকে, এ দিন ভোরে শিলিগুড়ির কাছে বাগডোগরা জঙ্গল থেকে হাতির দল বার হয়েছিল। তা নজরে পড়তেই বনকর্মীরা দ্রুত তাদের ধাওয়া করে জঙ্গলে ফেরত পাঠান। বন দফতর সূত্রে খবর, মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনগুলিতে হাতি যাতে কোনও ভাবেই লোকালয়ে বার হতে না পারে, সে জন্য নজরদারি চলছে। এ দিন ব্যাংডুবি এলাকাতেও একটি হাতিকে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল। বন দফতরের তরফে ‘ঐরাবতে’ পরীক্ষার্থীদের জঙ্গল এলাকা থেকে মূল সড়কে পৌঁছে বাসে তুলে দেওয়া এবং সে ভাবেই ঘরে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করা হচ্ছে। কার্শিয়াং ডিভিশনের এডিএফও রাহুলদেব মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষাতেও জঙ্গল এলাকার পরীক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে পৌঁছতে পেরেছে।’’
দুই জেলায় পুলিশও প্রয়োজনে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিতে সাহায্য করেছে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর শহরের কয়েকটি স্কুলে ঘুরে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের হাতে ফুল তুলে দেন। জলপাইগুড়ির জেলা পুলিশ সুপার উমেশ খণ্ডবহালে গণপতও বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেছেন। পরীক্ষার্থীদের নানা ভাবে সাহায্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জলপাইগুড়ি জেলার মাধ্যমিকের অন্যতম আহ্বায়ক ননীভূষণ রায় জানিয়েছেন, এ দিন অসুস্থ হওয়ায় জেলার কয়েকটি কেন্দ্রের মোট সাত জন পরীক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তারা হাসপাতালে বসেই পরীক্ষা দেয়। ননীভূষণ বলেন, ‘‘প্রশাসনের আধিকারিকেরা বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে তদারকি করেছেন। কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই।’’ একই দাবি করেছেন শিলিগুড়ির মাধ্যমিক পরীক্ষার আহ্বায়ক সুপ্রকাশ রায়।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)