E-Paper

‘রসিদ’ না থাকায় জেলাশাসক আলু বাজেয়াপ্ত করলেন

দু'সপ্তাহ ধরে জলপাইগুড়ি সব বাজারে আনাজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে দফায় দফায় অভিযান চলছে প্রশাসনের।

বিল্টু সূত্রধর 

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪ ১০:২০
টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধিদের নিয়ে, সোমবার আনাজের বাজার পরিদর্শন করলেন দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক। শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে।

টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধিদের নিয়ে, সোমবার আনাজের বাজার পরিদর্শন করলেন দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক। শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে। ছবি স্বরূপ সরকার।

আনাজের কালোবাজারি রুখতে ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সোমবার ময়দানে নামলেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শামা পারভিন। শহরের দিনবাজারে পাইকারি ও খুচরো আনাজ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বললেন তিনি। পাইকারি ব্যবসায়ীর দোকানে মজুত করা আলুর পাকা ‘রসিদ’ না থাকায়, ১৩ বস্তা আলু বাজেয়াপ্ত করে ওই ব্যবসায়ীকে নোটিস দেওয়ার নির্দেশ দিলেন জেলাশাসক। অভিযানে জেলাশাসকের সঙ্গে ছিলেন সদর বিডিও মিহির কর্মকার, কৃষি বিপণন দফতরের আধিকারিক সুব্রত দে।

দু'সপ্তাহ ধরে জলপাইগুড়ি সব বাজারে আনাজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে দফায় দফায় অভিযান চলছে প্রশাসনের। তার পরেও আলু ও পেঁয়াজের দাম কমছে না। অভিযোগ, পাইকারি বাজারে পাকা ‘রসিদ’ ছাড়াই চলছে ব্যবসা। এই সুযোগে একাংশ পাইকারি ব্যবসায়ী বেশি দাম নিচ্ছেন বলে অভিযোগ। ধূপগুড়ির পাইকারি বাজারে নাসিকের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কম দরে। কিন্তু দিনবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা শিলিগুড়ি থেকে বেশি দামে কেন পেঁয়াজ আনছেন, প্রশ্ন তোলেন জেলাশাসক। পাইকারি বাজারের এক ব্যবসায়ী আলু কেনার পাকা ‘রসিদ’ দেখাতে পারেননি। কোথা থেকে আলু কিনেছেন, সে তথ্যও দিতে পারেননি। ওখানেই জেলাশাসকের নির্দেশে ওই ব্যবসায়ীর ১৩ বস্তা মজুত করা আলু বাজেয়াপ্ত করে নোটিস দেয় প্রশাসন।

আনাজের খুচরো ব্যবসায়ীদের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে বললেন জেলাশাসক। এ দিন ক্রেতাদের সুবিধার্থে জেলার সব ব্লকে গুরুত্বপূর্ণ বাজারে সামনে কৃষি বিপণন দফতরের উদ্যোগে ‘সুফল বাংলা’র মাধ্যমে মোবাইল ভ্যানে করে আলু ২৮ টাকা ও পেঁয়াজ ৩৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। পাইকারি আলু ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রাজেশ সাহা বলেন, ‘‘কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি যে আলু কেনা হয়, তার বিল বা রসিদ থাকে না। বাকি সব বিল রয়েছে।’’

জেলাশাসক বলেন, ‘‘আগের থেকে আনাজের দাম অনেকটা কমেছে। পাইকারি বাজারে কিছু সমস্যা রয়েছে। ব্যবসায়ীদের নোটিস দেওয়া হচ্ছে। ‘সুফল বাংলা’ স্টলের মাধ্যমে জেলার সব ব্লকে মোবাইল ভ্যান করা হয়েছে। সেখান থেকে নায্য মূল্যে আলু ও পেঁয়াজ মিলবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Jalpaiguri

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy