Advertisement
E-Paper

Jopint Entrance: বাধা পেরিয়ে জয়েন্ট

জয়েন্ট এন্ট্রান্সের পরীক্ষা দিতে গিয়ে চরম হয়রানির শিকার হলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের পরীক্ষার্থীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২১ ০৬:০২
পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে মাস্ক মুখে পড়ুয়ারা। বালুরঘাটে।

পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে মাস্ক মুখে পড়ুয়ারা। বালুরঘাটে। নিজস্ব চিত্র।

মাস্ক পরে পরীক্ষা দিলেন পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে পারস্পরিক দূরত্ববিধি উড়িয়ে পরীক্ষার্থী ছেলেমেয়েদের জন্য অপেক্ষায় বসে রইলেন অভিভাবকেরা। শনিবার জয়েন্ট এন্ট্রান্সের পরীক্ষায় এমনই ছবি দেখা গেল মালদহ ও দুই দিনাজপুরে। করোনার মধ্যে প্রথম পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দিতে পেড়ে খুশি গৌড়বঙ্গের পরীক্ষার্থীদের বড় অংশ।

মালদহ

থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের পরে জীবাণুমুক্ত করার প্রক্রিয়া। তার পরেই মিলছে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি। সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে মাস্ক, গ্লাভসও। এ দিন জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় এমনই ছবি দেখা গেল মালদহের মহিলা কলেজে। সরকারি বিএড, পলিটেকনিক, আইএমপিএস, মালদহ কলেজ এবং অক্রুরমণি ইনস্টিটিউশনেও একই ছবি দেখা যায়। এ দিন জেলায় প্রায় আড়াই হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে আসেন অভিভাবকেরাও। পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে পারস্পরিক দূরত্ববিধি ভেঙে মাস্ক ছাড়াই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় অনেককেই। এ দিনও জেলায় পর্যাপ্ত বেসরকারি বাস চলাচল না করায় সমস্যায় পড়তে হয় পরীক্ষার্থীদের।

উত্তর দিনাজপুর

ইটাহারের বাসিন্দা মহম্মদ ইসমাইল আক্রমের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার আসন পড়েছিল রায়গঞ্জ করোনেশন হাইস্কুলে। ইসমাইলের মা নাজিরা বেগম বলেন, “রাস্তায় পর্যাপ্ত গাড়ি নেই। ছেলেকে নিয়ে ভোরবেলায় বাড়ি থেকে বের হয়ে কোনও রকমে সময় মতো পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পেরেছি।” ইসমাইলের মতোই পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে সমস্যায় পড়তে হয় বহু পরীক্ষার্থীকে। রায়গঞ্জের করোনেশন হাইস্কুল, পলিটেকনিক কলেজ ও কৈলাসচন্দ্র রাধারানি বিদ্যাপীঠে পরীক্ষা হয়। পরীক্ষাকেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মানা হলেও উল্টো ছবি দেখা যায় পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে।

ভিতরে চলছে পরীক্ষা। বাইরে অপেক্ষারত অভিভাবকদের মধ্যে নেই দূরত্ব। অনেকে মাস্কও পরেননি। মালদহের পিরোজপুরে।

ভিতরে চলছে পরীক্ষা। বাইরে অপেক্ষারত অভিভাবকদের মধ্যে নেই দূরত্ব। অনেকে মাস্কও পরেননি। মালদহের পিরোজপুরে। নিজস্ব চিত্র।

দক্ষিণ দিনাজপুর

জয়েন্ট এন্ট্রান্সের পরীক্ষা দিতে গিয়ে চরম হয়রানির শিকার হলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের পরীক্ষার্থীরা। গঙ্গারামপুর থেকে পরীক্ষার জন্য সাত সকালেই রওনা দেন গোলাম মোস্তাফা। মাঝপথে গাড়ি বিকল হয়ে যাওয়ায় ১০ মিনিট দেরিতে পৌঁছন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘প্রায় ৭০ কিমি দূর থেকে আসতে হয়েছে। গাড়ি বেশি ছিল না। সরকারি কোনও ব্যবস্থাও ছিল না। দেরি হওয়ায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছিল।’’ অনেকে আবার গাড়ি না পেয়ে অ্যাম্বুল্যান্স করে পৌঁছন পরীক্ষাকেন্দ্রে। প্রশাসন জানিয়েছে, বালুরঘাট কলেজ ও বালুরঘাট বিএড কলেজে পরীক্ষাকেন্দ্র করা হয়েছিল। জেলার ৫২৪ জন পরীক্ষার্থী মধ্যে ৮২ শতাংশ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন।

তথ্য সহায়তা: অভিজিৎ সাহা, গৌর আচার্য, নীহার বিশ্বাস

Joint Entrance Examination
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy