আলোর মালায় সেজে উঠেছে কোচবিহার শহর। নিজস্ব চিত্র।
আলোর রোশনাইয়ে মেতেছে কোচবিহার। তবে করোনার কথা মাথায় রেখে কোচবিহারে এ বার তেমন বড় আকারে কোনও কালীপুজো করেনি কোনও ক্লাব। কোচবিহার শহরে বিগ বাজেটের পুজোর সংখ্যা খুবই কম। বাজিও পোড়েনি বললেই চলে।
রাজ আমলের প্রথা মেনে কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী মদনমোহন মন্দির ঠাকুরবাড়ি কাঠামিয়া মন্দিরের বড় তারার পুজো হল নিষ্ঠা সহকারে। রাজপুরোহিত হীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, "শোল মাছ ও সাটি মাছ দিয়ে মাকে অন্ন ভোগ দেওয়া হবে। তা ছাড়াও লুচি পরমান্ন, ভেড়া, পাঁঠা একটি হাঁস, দু'টি পায়রা ও দু'টি মাগুর মাছ বলি দেওয়ার রীতি রয়েছে এখানে।" তবে করোনা আবহে এ বার ভক্তরা বড় তারার পুজোতে অন্ন ভোগ দিতে পারবেন না। তবে অঞ্জলি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রতিবছর কোচবিহারে ভবানীগঞ্জ বাজারে বাজির পসরা সাজিয়ে বসেন বাজি ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এ বার তা বন্ধ ছিল। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, পুজোর আগে থেকেই সর্বত্র বাজি পোড়ানোর বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রচার করা হয়েছে। দীপাবলির রাতে যাতে বাজি পোড়ানো না হয় তার জন্য শহর জুড়ে চলছে পুলিশি নজরদারি। আদালতের নির্দেশ কে অমান্য করে কেউ যদি বাজি পড়ায় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যান্যবার যে ভাবে বাজির আলোয় ঝলমল করে গোটা শহর সে তুলনায় বাজি পোড়ানোর ছবি একেবারে নেই বললেই চলে। তবে আড়ালে বাজি পোড়ানোর শব্দ শোনা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy