— প্রতীকী ছবি।
পুলিশ-বিজেপির বচসায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল ইংরেজবাজার। বৃহস্পতিবার সকালে কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের আনন্দে শহরে বাইক র্যালির কর্মসূচি নেয় বিজেপির যুব মোর্চা। র্যালিতে ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল, উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মুও। শহরের নেতাজি মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে যুব মোর্চার সেই র্যালি আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশের দাবি, অনুমতি না নিয়েই বাইক র্যালি শুরু করে বিজেপি, তাই তাদের র্যালি আটকে দেওয়া হয়েছে। পুলিশকে তীব্র ভাষায় ভর্ৎসনা করেন খগেন।
এ দিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ বাইক র্যালি বের করে বিজেপির যুব মোর্চা। তবে তার আগেই সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ শহরের নেতাজি মোড়ে মোতায়ন হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। র্যালি নেতাজি মোড়ে হাজির হলে আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, দিনের ব্যস্ততম সময়ে বাইক র্যালি হলে শহরে যানজটের সৃষ্টি হবে। যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, “বাইক র্যালির জন্য থানায় চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তবে পুলিশ অনুমতি দেয়নি। এ ছাড়া, শহরে যাতে যানজট না হয়, সে জন্য সকালে বাইক র্যালির কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। তারপরেও পুলিশ অনুমতি মেলেনি।” পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁদের কাছে খবর ছিল, র্যালি শুরু হবে সকাল সাড়ে সাতটায়। তাই সেই মতো প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। মালদহের ডিএসপি বিপুল মজুমদার বলেন, “অনুমতি না থাকায় বাইক র্যালি আটকে দেওয়া হয়েছে।”
তার পরেই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মু। তিনি ইংরেজবাজার থানার আইসিকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেন। পুলিশের তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন সাংসদ। তিনি রাস্তায় বসে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁকে দেখে রাস্তায় বসে যান বিজেপির নেতা কর্মীরা। তার ফলে নেতাজি রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শহরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকায় তৈরি হয় বিরাট যানজট। সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত চলে অবস্থান বিক্ষোভ। তারপরে বাইকের পরিবর্তে পায়ে হেঁটে শহরের ফোয়ারা মোড়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তি পর্যন্ত যান বিজেপি নেতৃত্ব। সে অনুমতি তাঁদের দেয় পুলিশ।
খগেন বলেন, “পুলিশের চেয়ারে বসে আইসি তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন। তাঁর উচিত পুলিশের পোশাক খুলে দিয়ে তৃণমূলের ঝান্ডা ধরে রাস্তায় নামা। কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে দেওয়ায় দেশের মানুষ খুশি।” তাই শান্তিপূর্ণ বাইক র্যালির কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, “পুলিশ পরিকল্পিত ভাবে তৃণমূলের কথা মতো আমাদের র্যালি আটকে দেয়।” বিজেপি জেলায় শান্তির পরিবেশ নষ্ট করছে বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার। তিনি বলেন, “বিজেপি উস্কানি দিয়ে জেলার শান্তির পরিবেশ নষ্ট করতে চাইছে। আর পুলিশ পুলিশের কাজ করছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy