Advertisement
০৪ মে ২০২৪
tmc bjp

পরীক্ষার চাপে নেতা অ-মাইক

দলগুলির ওই ভাবনায় কিছুটা হলেও স্বস্তির কথা জানাচ্ছেন অভিভাবকদের একাংশ। তাদের কয়েকজনের কথায়, ভাবনা ভাল। বাস্তবে মাইক তাণ্ডবহীন পরিবেশ হলে আখেরে পরীক্ষার্থীদেরই সুবিধা।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

অরিন্দম সাহা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২০ ০৫:৫৮
Share: Save:

পুরভোট দরজায় কড়া নাড়ছে। কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার কারণে আপাতত টানা কিছুদিন বড় বড় মাইক বেঁধে কোনও কর্মসূচি করা যাবে না। কিন্তু তাই বলে তো আর জেলার ছ’টি পুরসভা এলাকায় বসে থাকা যায় না!

অগত্যা তাই ‘অ-মাইক’ পুর প্রচারে জোর দিচ্ছে যুযুধান দুই শিবিরই। দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, কোচবিহার, তুফানগঞ্জ, দিনহাটা, মাথাভাঙা, মেখলিগঞ্জ ও হলদিবাড়ি পুরসভা এলাকায় এবার একযোগে পুরভোট হওয়ার কথা। সেজন্য দেওয়াল দখল, প্রার্থী খোঁজ থেকে সংগঠন চাঙ্গা করার নানা কর্মসূচিও শুরু হয়েছে। কিছু এলাকায় উৎসাহী কর্মীদের একাংশের মধ্যে মাইক মিটিংয়ের পরিকল্পনার কথাও ঘুরপাক খাচ্ছিল। কিন্তু পুরভোটের মুখে যুযুধান শিবিরের জেলা নেতারা সাফ জানিয়ে দেন, পরীক্ষা চলাকালীন মাইক ছাড়াই প্রচারের কর্মসূচি নিতে হবে।

তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, “পুরভোটের জন্য প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক প্রস্তুতি চলছে। উচ্চ মাধ্যমিক শেষ না হওয়া পর্যন্ত মাইক নিয়ে কোনও শহরেই প্রচার কর্মসূচি নেওয়া হবে না। আমরা দলের সর্বস্তরে মাইক ছাড়াই প্রচারের কথা জানিয়েছি।”

বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “আমরা সবসময় নিয়ম মেনে চলি। উচ্চ মাধ্যমিকের সময়েও সেইভাবেই কর্মসূচি হচ্ছে। কোথাও মাইক বাজানোর ব্যাপার নেই। বাড়ি বাড়ি যাওয়া হচ্ছে।” এ ব্যাপারে মালতীর কটাক্ষ, তৃণমূল কোনও নিয়ম মানে না। আগে এমন নানা নজিরও রয়েছে। যার পাল্টা তৃণমূল জেলা সভাপতির বক্তব্য, “কাদের মুখে হরিনাম তা মানুষ ওই বক্তব্যেই বুঝবেন।” তৃণমূলের আরও অভিযোগ, বিজেপিই কোনও নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না। আমাদের দল সব নিয়মই মানে।’’

সিপিএম ও কংগ্রেসের জেলা নেতারাও জানাচ্ছেন অ-মাইক প্রচার পরিকল্পনার কথা। সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদক অনন্ত রায় বলেন, “ ঘরোয়া কিছু কর্মিসভাও হবে। হাতে বেশি সময় নেই বলেই আমাদের মনে হচ্ছে। তাই বসে থাকতে চাই না। তবে প্রচারে মাইক থাকছে না।” জেলা কংগ্রেস সভাপতি শ্যামল চৌধুরী বলেন, “কর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। ঘরোয়া বৈঠক হচ্ছে। সেটাই আরও বেশি করে হবে। তবে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ হলে মাইক নিয়ে প্রচার কর্মসূচি নেওয়া হবে।”

দলগুলির ওই ভাবনায় কিছুটা হলেও স্বস্তির কথা জানাচ্ছেন অভিভাবকদের একাংশ। তাদের কয়েকজনের কথায়, ভাবনা ভাল। বাস্তবে মাইক তাণ্ডবহীন পরিবেশ হলে আখেরে পরীক্ষার্থীদেরই সুবিধা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

tmc bjp KMC ELECTION 2020,
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE