Advertisement
E-Paper

বসা তো দূর, শক্ত দাঁড়ানোও

দেশের ব্যস্ততম বিমানবন্দরগুলির মধ্যে ২৭ নম্বরে বাগডোগরার। বাৎসরিক হিসাবে যাত্রী সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৫ লক্ষ। বিমান সংখ্যা বছরে সাড়ে ১১ হাজার। কিন্তু বিমাবন্দরের টার্মিনাল ভবন বলতে সেই পুরানো দোতলা ভবন।

কৌশিক চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৭ ০২:৩১

দেশের ব্যস্ততম বিমানবন্দরগুলির মধ্যে ২৭ নম্বরে বাগডোগরার। বাৎসরিক হিসাবে যাত্রী সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৫ লক্ষ। বিমান সংখ্যা বছরে সাড়ে ১১ হাজার। কিন্তু বিমাবন্দরের টার্মিনাল ভবন বলতে সেই পুরানো দোতলা ভবন। সকাল থেকে বিকেল অবধি যাত্রীদের লাইন। যদিও ভিআইপিদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। তাই নতুন টার্মিনাল ভবন না করেই দিনের পর দিন বিমানের সংখ্যা বাড়ায় সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা।

এক সঙ্গে ৩-৪টি বিমান এসে পৌঁছলে বসার জায়গা তো দূরের কথা, ঠিকঠাক দাঁড়ানোও যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। বিশেষ করে গরমের পর্যটন মরসুম পড়তেই, সমস্যা আরও প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাত্রীরা অনেকেই জানান, টার্মিনাল ভবনে শৌচাগার হাতে গোণা। সেখানেও অনেক সময় যাত্রীদের ল্যাগেজ নিয়ে লাইন দিতে হয়। জায়গার অভাবে বসার চেয়ারের সংখ্যাও কম থাকে। রেঁস্তোরা পিছনের অংশ থেকে সামনে আসায় এলাকা একটু বাড়লেও যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের খুব একটা হেরফের হয়নি।

রবিবার দিল্লির কয়েকজন যাত্রী জানান, সিকিউরিটি স্ক্যানার, চেক ইন কাউন্টার, মালপত্রের কনভেয়ার বেল্ট একেবারেই কম। একাধিক বিমান একসঙ্গে আসলে মালপত্রের জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষাও করতে হয়। অনেক যাত্রীকে বিমান আসা অবধি সিকিউরিটি হোল্ড এরিয়ায় জানলার ধারে বসে বা হ্যান্ডল্যাগেজ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আবার বাইরের পার্কিং এলাকার অবস্থা আরও খারাপ। একটি গাড়ি রাখলে সামনে আরও গাড়ি দাঁড় করানো হচ্ছে। তাতে নিত্য যানজট, গোলমাল চলছে।

বিমানবন্দর সূত্রের খবর, সমস্যা মেটাতে কিছুটা জায়গা বাড়ানোর কাজও শুরু করেছেন কর্তৃপক্ষ। পুরানো রেস্তোরাঁর এলাকায় নতুন সিকিউরিটি হোল্ড এলাকা তৈরি হচ্ছে। ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা। তা হলেও সেখানে আরও অতিরিক্ত ৩০০ যাত্রীর বসার ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। সেখানেই বিদেশি বিমানের জন্য ইমিগ্রেশন চেকের স্থায়ী কাউন্টার থাকবে। এখন যা অস্থায়ী ভাবে টার্মিনাল ভবনে রয়েছে। বর্তমানে ৬০০ যাত্রীকে এক সঙ্গে বিমানবন্দরে ঢুকিয়ে রাখার ব্যবস্থা রয়েছে।

বিমানবন্দর অধিকর্তা রাকেশ সহায় বলেন, ‘‘সমস্যার কথা আমরা জানি। তাই সীমিত এলাকার মধ্যে যতটা হেরফের করা যায়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।’’ তিনি জানান, নতুন টার্মিনাল ভবনের তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রয়োজনীয় জমির বায়ুসেনা, রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে।

বর্তমানে কলকাতা, দিল্লি, গুয়াহাটি বা চেন্নাই ছাড়াও মুম্বই, বেঙ্গালুরু এবং হায়দরাবাদে বাগডোগরা থেকে সরাসরি বিমান চলছে। রয়েছে ভুটানের পারো থেকে বাগডোগরা হয়ে ব্যাঙ্কক যাওয়ার আন্তর্জাতিক বিমানটিও। প্রতি দিন ২৪/২৫ টি বিমান ওঠানামা করছে। পর্যটন সংগঠন এতোয়ার সভাপতি সম্রাট সান্যাল জানান, তেলের মাসুলে ছাড়, গন্তব্যের জন্য বিমান বেড়েই চলছে। এখনই পরিকাঠামো বাড়ানো না হলে বড় সমস্যা আগামীতে দিনে তৈরি হবে।

Bagdogra Airport Crowd handle
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy