খোঁজ: আমবাগানে পড়ে তরুণীর দেহ। তদন্ত পুলিশের। শনিবার মানিকচকে। নিজস্ব চিত্র
ফের আমবাগানে উদ্ধার করা হল তরুণীর দেহ। মালদহের ইংরেজবাজারের পর এ বার ঘটনাস্থল মানিকচক।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সকালে মানিকচক থানার কামালপুরের আমবাগান থেকে তরুণীর অর্ধনগ্ন রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁকে ধর্ষণের পরে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তবে ধর্ষণ করে খুন কিনা— তা ময়নাতদন্তের পরেই স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন জেলার পুলিশকর্তারা।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, নিহত ওই তরুণী বিহারের কিসানগঞ্জের বাসিন্দা। মানিকচকের কড়িয়ালির একটি গ্রামের এক বাসিন্দার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। ওই যুবক আমবাগান সংলগ্ন সরকারি কর্মতীর্থ ভাড়া নিয়ে আকুপাংচার চিকিৎসা করেন। স্ত্রীকে নিয়ে সেখানেই থাকতেন তিনি।
তদন্তকারীরা জানান, ওই তরুণীর দেহের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা একটি ব্যাগে লাল রঙের নতুন শাড়ি, ওড়না, প্রসাধন সামগ্রী মিলেছে। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে নিহতের বাপের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। তিনি বলেন, ‘‘শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। তবে ময়নাতদন্তের পরে ধর্ষণের বিষয়টি স্পষ্ট হবে।’’
গত ৬ ডিসেম্বর ইংরেজবাজার থানার ধানতলা গ্রামের একটি নির্জন আমবাগানে অর্ধনগ্ন এক তরুণীর দগ্ধ দেহ উদ্ধারে হইচই পড়ে জেলা জুড়ে। ছ’দিন পরে তরুণীর পরিচয় জানার পাশাপাশি খুনের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় রেশ কাটতে না কাটতেই মানিকচক থানার কামালপুর গ্রামের আমবাগানে তরুণীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে মালদহ-মানিকচক রাজ্য সড়ক থেকে ৪০০ মিটার দূরে ওই আমবাগানে তরুণীর রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়াও।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি এলাকাটি ঘিরে দেওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতের মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। দেহের চারপাশে ব্যাগ, মোবাইল ফোন, জুতো ছড়িয়ে পড়েছিল। একটি আমগাছে ঝুলছিল রঙিন ওড়নাও।
পুলিশ সূত্রে খবর, দেহ উদ্ধারের কিছুক্ষণ আগেই থানায় স্ত্রীয়ের নিখোঁজ ডায়েরি করতে গিয়েছিলেন মানিকচকের কড়িয়ালি সুলতানপুর গ্রামের ওই যুবক। দেহ উদ্ধারের পরে কর্মতীর্থে হানা দেয় পুলিশ। তবে তরুণীর স্বামীর খোঁজ মেলেনি। ওই দম্পতির ভাড়াঘর থেকে বিয়ের একটি শংসাপত্র ও তরুণীর ছবি মেলে। নিহতের স্বামীর খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy