নিশুতি রাতে বাইক বাহিনীর হানা। হাটে-বাজারে ফিসফিস করে হাড় হিম করা শাসানি। রাতবিরেতে দাওয়ার বেড়ায় টাঙানো পতাকা খুলে নিয়ে যাওয়া। সাতসকালে উঠে গেরস্ত দেখতেন, রাস্তার রং রাতারাতি পাল্টে দিয়ে গিয়েছে বাইক বাহিনী। বিভিন্ন ভোটে এমনই ভূরি ভূরি অভিযোগ উঠেছে কোচবিহারে। গুলি-বোমা-বন্দুকের চেয়েও চাপা হুমকি, হাটে-বাজারে শাসানির জোরেই ভোটের দিন অনেকে কাজ হাসিল করেছেন বলেও অভিযোগ। আর পাঁচটা জায়গার সঙ্গে কোচবিহারে ভোট হলেও আলাদা করে নজরদারি কখনও হয়নি। এ বার অন্তিম পর্যায়ে যে দুটি জেলায় ভোট হবে, তার একটি হল কোচবিহার। বিধানসভা আসন সংখ্যা ৯। শাসক ও বিরোধী দল তা-ই গুছিয়ে আসরে নেমে পড়েছেন। শাসক দল শেষ পর্বের ভোটে ‘সব গণতান্ত্রিক অস্ত্র’ প্রয়োগে যে দ্বিধা করবেন না, সেটা প্রতিটি সভা-সমাবেশে বুঝিয়ে দিতে চাইছে। বিরোধী জোট কংগ্রেস-বামেরাও আশা করছে, কলকাতার মতো এখানেও চালিয়ে খেলবে পুলিশ। বিরোধী জোটের তরফে অভিযোগ করায় দু’দিন আগে এক জন ইন্সপেক্টর ও এক জন এসডিপিও-কে কোচবিহার থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরও কয়েক জনের উপরে নজর রয়েছে কমিশনের। এ সবের সঙ্গে এ বারে সকলের নজর সাবেক ছিটমহলের উপরেও। ছিটমহল বিনিময়ের পরে এই প্রথম ভোট। এত দিন বাংলাদেশের মানুষ ওঁরা এ বার ভোট দেবেন ভারতের নির্বাচনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy