পর্যটন মন্ত্রকের মতো ‘ডিজ়িটাল মিডিয়া’য় পেশাদার সংস্থাকে দিয়ে প্রচারের সিদ্ধান্ত পর্যটন দফতরের। গত ৩ মে কলকাতায় বৈঠকের পরে, সংস্থা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এ মাসের শেষে, প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, গরমের পর্যটন মরসুমকে ধরেই প্রচারে নামবে রাজ্যের পর্যটন দফতর। এ ছাড়া, পুজোর কথা মাথায় রেখে আগাম প্রচারের সময়ও মিলবে। পর্যটন দফতরের সমাজ মাধ্যম এবং ‘ডিজ়িটাল মিডিয়া’য় উপস্থিতি থাকলেও, তা প্রয়োজনের তুলনায় কম বলেই দফতরের শীর্ষ কর্তারা মনে করছেন। তাই তথ্যপ্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে প্রচারে জোর আনার এই ভাবনা।
পর্যটন দফতরের এক যুগ্ম সচিবের কথায়, ‘‘পর্যটন মন্ত্রকের তরফে যে ভাবে রাজ্য বা এলাকাকে নিয়মিত ‘ডিজ়িটাল’ এবং ‘সোশাল মিডিয়া’য় প্রচারে রাখা হয়, তা অনবদ্য। ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’র প্রচার মানুষের মুখে মুখে ঘোরে। সবই পেশাদার সংস্থাকে দিয়ে করানো হয়। রাজ্য পর্যটনেও তেমনই চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।’’ তিনি জানান, শিলিগুড়িতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের পর্যটন বিষয়ক বৈঠক, অনুষ্ঠান এবং শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং নিয়ে ‘ডিজ়িটাল’ প্রচার যে ভাবে করা হচ্ছে, তাতে রাজ্যকে তুলে ধরা বা পর্যটন ব্যবসায় সাড়া মেলার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
পর্যটন দফতর সূত্রের খবর, নতুন প্রচার ভাবনায় একাধিক ভাগ রাখা হয়েছে। পেশাদার সংস্থার সঙ্গে আলোচনার পরেই সব চূড়ান্ত হবে। তবে দফতরের তরফে একটি রূপরেখা তৈরি হয়েছে। তাতে প্রথমেই রয়েছে ‘ফেসবুক’ প্রচার। রোজ দু’টি করে ‘পোস্ট’ করা এবং ‘ইভেন্ট’-ভিত্তিক ‘পেজ’ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পরেই রয়েছে ‘ইনস্টাগ্রাম’। সেখানে নিয়মিত দু’টি করে ‘পোস্ট’ করা হবে। যার একটি অবশ্যই ‘অডিয়ো-ভিসুয়াল’। সে সঙ্গে ‘ইউটিউব’-এ দর্শক বাড়াতে মাসে অন্তত ১৫টি ‘পোস্ট’ করা হবে। পাশাপাশি, প্রচার চলবে ‘ওয়েবসাইট’ মারফত।
দফতরের অফিসারেরা জানান, মন্ত্রক নির্দিষ্ট এলাকা লক্ষ বা ‘ফোকাস’ করে কাজ করে বলে দেখা গিয়েছে। বিশেষ এলাকা, বিশেষ আকর্ষণ, জনজাতি, প্রকৃতির মতো বিষয়কে লক্ষ করে প্রচার করা হয়। সে লক্ষ্যেই প্রথম বার দফতরের ‘ডিজ়িটাল মিডিয়া প্ল্যানিং সার্ভিস’ চালু হবে। নির্দিষ্ট বিষয়কে সামনে রেখে কাজ হবে। পর্যটন মন্ত্রকের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই প্রচারকাজের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর সঙ্গে থাকবে ‘ব্লগ’। সেখানে সপ্তাহে দু’টি বিষয়-ভিত্তিক লেখা থাকবে। উপযুক্ত লোক নিয়োগ করেই ‘ব্লগ’ লেখানো হবে। এ ছাড়া, দফতরের মন্ত্রী ও কর্তাদের অনুষ্ঠান ও, কর্মসূচির জন্য আলাদা চিত্রগ্রাহক বা ‘ফোটোগ্রাফার’ রাখার কথাও ভাবা হয়েছে।