জেলা সভাধিপতি হওয়ার পর কেঁদে ফেললেন লিপিকা ঘোষ বর্মণ। পিছনে সহকারী সভাধিপতি রফিকুল হোসেন। বুধবার মালদহে। ছবি: স্বরূপ সাহা।
এক জন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি থেকে হলেন সভাধিপতি। অন্য জন সভাধিপতি থেকে হলেন সহকারী সভাধিপতি। বুধবার মালদহে জেলা পরিষদ গঠনে এমনই ছবি দেখা গেল। তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও সভাধিপতি, সহকারী সভাধিপতি নির্বাচনে প্রার্থী দেয় কংগ্রেস ও বিজেপি। যদিও ভোটাভুটিতে তৃণমূলই জয়ী হয়েছে।
মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) জামিল ফতেমা জ়েবা বলেন, “সভাধিপতি নির্বাচনে তৃণমূল ৩৪, কংগ্রেস পাঁচ এবং বিজেপি চারটি ভোট পেয়েছে। সহকারী সভাধিপতি নির্বাচনে বিজেপি সদস্যেরা যোগ না দিয়ে বেরিয়ে যান। কংগ্রেস ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করলে, এখানেও পাঁচটি ভোট পেয়েছে।”
এ দিন সভাধিপতি লিপিকা বর্মণ ঘোষ এবং সহকারী সভাধিপতি হন রফিকুল হোসেন। তিনি গত বোর্ডের সভাধিপতি ছিলেন। লিপিকা ইংরেজবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন। এ বার জেলা পরিষদের প্রার্থী হন তিনি। এ বারই প্রথম সভাধিপতি আসন তফসিলি মহিলা সদস্যের জন্য সংরক্ষিত হয়। লিপিকা সভাধিপতি হওয়ায় তৃণমূলের সদস্যদের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কারণ, লিপিকার স্বামী প্রসূন ঘোষ মহদিপুরের ব্যবসায়ী। সিপিএমের সঙ্গে তাঁদের পরিবার যুক্ত ছিল। ২০১৬ সালে তৃণমূলে যোগ দেন প্রসূন।
কংগ্রেসের জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুল হান্নান বলেন, “তৃণমূল বোর্ড গঠন করলেও সদস্যদের মুখ ভার। কারণ, কেউ সভাধিপতি থেকে সহকারী হয়ে যাচ্ছেন।” বিজেপির সদস্য শ্যামলী রজকের দাবি, ‘‘সভাধিপতি, সহকারী সভাধিপতি নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই দ্বন্দ্ব রয়েছে। তাঁদের কারও মনে কোনও উৎসাহ নেই।" বিরোধী-কটাক্ষ উড়িয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, ‘‘সবাই মিলে মানুষের উন্নয়নের জন্য জেলা পরিষদে কাজ করবেন।’’ রফিকুল বলেন, “দল যখন যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা পালন করেছি। এ বারও তাই করব।” লিপিকা বলেন, “গঙ্গা ভাঙন, নিকাশি, পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর জন্য জেলা পরিষদ কাজ করবে।” নতুন সভাধিপতি, সহকারী সভাধিপতিকে নিয়ে এ দিন শহরে মিছিল করেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy