Advertisement
০৪ মে ২০২৪

সম্পত্তির টানে ফেরে লিপিকারা

এলআইসির ডেভেলপমেন্ট অফিসার উত্তম মোহান্ত খুনের ঘটনায় অনির্বাণকে জেরা করে এমনই তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ৷ পাশাপাশি পুলিশ এতদিন জানতো, লিপিকাকে নিয়ে দু’বার পালিয়েছিল অনির্বাণ৷

লিপিকা মোহান্ত।—ফাইল চিত্র।

লিপিকা মোহান্ত।—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৭ ০৮:০০
Share: Save:

স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কের জেরে বিরক্ত হয়ে এলআইসির ডেভেলপমেন্ট অফিসার উত্তম মোহান্ত নতুন করে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন৷ মালবাজারে পাত্রীর খোঁজ নিতেও শুরু করেছিলেন৷ কিন্তু স্বামী আবার বিয়ে করলে সম্পত্তি হাতছাড়া হয়ে যাবে বুঝতে পেরে অনির্বাণের সঙ্গে পরামর্শ করে সংসার করতে ফের জলপাইগুড়িতে ফিরে আসে লিপিকা৷

এলআইসির ডেভেলপমেন্ট অফিসার উত্তম মোহান্ত খুনের ঘটনায় অনির্বাণকে জেরা করে এমনই তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ৷ পাশাপাশি পুলিশ এতদিন জানতো, লিপিকাকে নিয়ে দু’বার পালিয়েছিল অনির্বাণ৷ কিন্তু অনির্বাণ ধরা পরার পর পুলিশ জানিতে পেরেছে, দু’বার নয়, অনির্বাণের সঙ্গে তিনবার পালিয়েছিল লিপিকা। প্রথমবার ভেটাগুড়িতে বাপের বাড়িতে যাওয়ার নাম করে কলকাতায় গিয়ে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে দু’জন বিয়ে করে৷ পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৫ সালের ১৬ জুন মেয়ে শ্বেতাকে নিয়ে লিপিকা জলপাইগুড়িতে যায়৷ আরেকটি বাসে তাদের পেছন পেছন যায় অনির্বাণ৷ মেয়েকে বাবার বাড়িতে রেখে অনির্বাণের সঙ্গে বেরিয়ে পড়ে সে৷ তারপর উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসে চেপে কলকাতায় যায়৷ শিয়ালদহ এলাকায় একটি হোটেল ভাড়া করে তারা৷ ওই দিনই ৫১ টাকা দক্ষিণা দিয়ে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে বিয়ে করে তারা৷ পরদিন কাঞ্চন কন্যা এক্সপ্রেসে আলিপুরদুয়ার হয়ে কোচবিহার ফিরে যায়। সেখান থেকে লিপিকা তার বাবার বাড়ি ও অনির্বাণ জলপাইগুড়ি ফিরে আসে৷

পুলিশ জানিয়েছে, ওই বছরই আবার উত্তমবাবুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ন’লক্ষ টাকা হাতিয়ে তারা কলকাতায় পালায়৷ সেখান থেকে দিল্লী যায়৷ তবে কিছুদিন পর ফিরে আসে৷ বছর খানেক আগে পালিয়ে প্রায় সাত-আট মাস তারা একসঙ্গে ছিল৷ পুলিশসূত্রের খবর, জেরায় অনির্বাণ জানিয়েছে, ওই সময়ই মালবাজারে নতুন করে বিয়ের পাত্রীর খোঁজ করতে শুরু করেন উত্তম মোহান্ত৷ কিন্তু তিনি বিয়ে করলে সম্পত্তি হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে বুঝে লিপিকা ফের
ফিরে আসে৷

পুলিশ সূত্রের খবর, অনির্বাণের কাছ থেকে একটি ব্যাঙ্কের পাশবই মিলেছে৷ তাতে দু’লক্ষ টাকার বেশি রয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে৷ যদিও অনির্বাণের দাবি, অনেকদিন আপডেট না করাতেই ওই পাশবই-তে এত টাকা দেখাচ্ছে৷ পুলিশ জানিয়েছে, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে৷

জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘অবৈধ সম্পর্ক ও সম্পত্তির জন্যই যে এই খুন তা মোটামুটি পরিষ্কার৷ তবু তদন্ত করে আরও গভীরে যাওয়ার চেষ্টা চলছে৷’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE