যোগ্যদের নামের তালিকা পাঠানো হল স্কুল পরিদর্শকের দফতরে। তাতে বেতনের সম্মতি দিতে জটিলতা দ্রুত মিটবে বলে আশা। যোগ্য চাকরিহারাদের চিহ্নিত করতে না পারলে স্কুলের তরফে সমস্ত শিক্ষকদের বেতন অনুমোদন করে পাঠানোর কাজ আটকে রয়েছে। প্রধান শিক্ষকেরা তাই স্কুল পরিদর্শকের দফতরের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছেন।
বুধবার শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়ি স্কুল পরিদর্শকের দফতরেও ওই নামের তালিকা পৌঁছেছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও শিলিগুড়ির বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) রাজীব প্রমাণিক বা জলপাইগুড়ি স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক ) বালিকা গোলে জানিয়েছেন, এ নিয়ে তাঁরা কিছু বলতে পারবেন না। এটি দফতরের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
স্কুল পরিদর্শকের দফতর থেকে সেই তালিকা স্কুলে স্কুলে পাঠানোর কথা। সেই মতো স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষকদের বেতনের অনুমোদন নির্দিষ্ট পোর্টালে সম্মতি দিয়ে পাঠাবেন। তার প্রতিলিপিও দেবেন স্কুল পরিদর্শকের দফতরে। সেই মতো বেতন দেওয়া হবে। অযোগ্যদের নাম বেতন পোর্টালে আর থাকবে না বলেই একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
শিক্ষা দফতরের একটি সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়িতে ৪৮৯ জনের নামের তালিকা এসেছে। শিলিগুড়িতে যে নামের তালিকা এসেছে, তাতে ২৫০ জনের মতো শিক্ষক রয়েছেন। তবে সমস্যা হয়েছে শিক্ষকেরা যে স্কুলে প্রথম যোগ দিয়েছিলেন, সেই জেলাতেই তাঁদের নামের তালিকা গিয়েছে। শিলিগুড়িতে বহু চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা অন্য জায়গা থেকে, বিশেষ করে ডুয়ার্স থেকে বদলি নিয়ে এসেছেন। তবে স্কুল পরিদর্শকদের দফতর সেই কাজ এ দিন রাতের মধ্যে অনেকটাই গুছিয়ে নিয়েছে।
এ দিন শিলিগুড়ির জ্যোৎস্নাময়ী বালিকা বিদ্যালয়ে দুই চাকরিহারা গেলে তাঁদের হাজিরা খাতায় সই করতে দিতে চাওয়া নিয়ে সমস্যা হয় বলে অভিযোগ। স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁদের সই করতে দিচ্ছিলেন না বলে যোগ্য চাকরিহারা মঞ্চের তরফে অভিযোগ তোলা হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বনানী রায় বলেন, ‘‘স্কুল পরিদর্শকের সঙ্গে তা নিয়ে কথা বলার জন্য তাঁদের একটু অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। কোনও সমস্যা হয়নি। তাঁরা দুই জনেই এ দিন হাজিরা দিয়েছেন।’’
এ দিকে, চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনেকেই কলকাতা থেকে ফিরতে শুরু করেছেন। চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ বলেন, ‘‘আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরু করেছি। এখনই আমরা স্কুলে ফিরব কিনা, তা ভেবে দেখা হচ্ছে।’’ নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির (এবিটিএ) জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক প্রসেনজিৎ রায় বলেন, ‘‘যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা এখন কীসের ভিত্তিতে করা হল, সেটাই বুঝতে পারছি না।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)