অনুষ্কা মিশ্র
সময় পেলেই বসে পড়ত কার্টুন দেখতে। তবে এখন সময় পেলেই বরাভয়মুদ্রায় বসে পড়তে হচ্ছে ছোট্ট অনুষ্কাকে।
কারণ এ বারে মালদহ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের দুর্গা পুজোয় কুমারী হিসেবে পুজিত হবে ছোট্ট অনুষ্কাই। তারই প্রস্তুতি চলছে সারাক্ষণ। কুমারী হিসেবে তাঁদের তিষা সুযোগ পাওয়ায় দারুন খুশি পুরাতন মালদহের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের স্কুলপাড়ার বাসিন্দা মিশ্র পরিবার। অনুষ্কার বাবা সঞ্জয় মিশ্র আপ্লুত হয়ে বললেন, ‘‘আমাদের মতো সাধারণ পরিবারের মেয়েকে মিশন কর্তৃপক্ষ সেই সুযোগ দেওয়ায় কৃতজ্ঞ।’’
ইংরেজবাজারের মহানন্দা নদীর ধারে অবস্থিত মালদহ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে ১৯৩২ সাল থেকে দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। এ বারে পুজোর ৮৪ তম বর্ষ। শুক্রবার মহালয়ার দিন চণ্ডীপাঠ দিয়েই মিশনের পুজোর সূচনা হয়ে যায়। অষ্টমীর দিন সকাল ৯.৩০ মিনিটে কুমারী পুজো শুরু হবে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলবে এই পুজো। মালদহ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পরাশরানন্দ বলেন, ‘‘নারী জাতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য মহাষ্টমীতে প্রতি বছর কুমারী পুজো করা হয়।’’
অনুষ্কাকে নিয়ে ইতিমধ্যেই পরিজনেরা ব্যস্ত। অনুষ্কা এলাকারই একটি বেসরকারি স্কুলে প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। সঞ্জয়বাবু ও তাঁর স্ত্রী ব্যাপ্তিদেবী দু’জনেই মিশনের দীক্ষিত। সেই সুবাদে প্রায় তাঁরা অনুষ্কাকে নিয়ে যান মিশনে। সেখানে মালদহ রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ স্বামী পরাশরানন্দ অনুষ্কাকে এ বারের পুজোর জন্য বেছে নেন। অনুষ্কা খুবই শান্ত স্বভাবের। তারপরেও তাকে অভ্যেস করতে হচ্ছে নিয়ম করে। দৈনিক সকাল সন্ধ্যে মা সারদাদেবীর বাণী পাঠ করে শোনানো হচ্ছে তাকে। ঘণ্টাখানেক একটি চেয়ারে বরাভয়মুদ্রা হয়ে বসার অভ্যেস করতে হচ্ছে।
এমন করতে গিয়ে অনেক পছন্দের জিনিস বাদ পড়েছে অনুষ্কার। কার্টুন তো বন্ধই। আর পুজোর সময় যাতে শরীর সুস্থ থাকে তাই বাদ গিয়ে সব থেকে পছন্দের আইসক্রিমও। অনুষ্কা অবশ্য এ সব ছাড়তে হলেও খুশি। সে জানিয়েছে, ‘‘স্কুলের বন্ধুরাও খুব ভালোবাসছে। আমার খুব ভাল লাগছে।’’ তবে কিছুটা হলেও চিন্তিত অনুষ্কার মা ব্যাপ্তিদেবী। তিনি বলেন, ‘‘খুব যত্ন করে রাখতে হচ্ছে ওকে। তাই একটু ভয় হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy