Advertisement
E-Paper

আশঙ্কা সন্ত্রাসের, কমিশনে নালিশ

সোমবার দুপুরে মালদহ দক্ষিণ ও উত্তরের কংগ্রেস প্রার্থী আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু) ও ইশা খান চৌধুরী দু’জনেই পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানান।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:২৭
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

মালদহে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও বহিরাগতদের জড়ো করে গোলমাল পাকানোর অভিযোগ তুলে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হল কংগ্রেস ও সিপিএম। বিষয়টি নিয়ে তারা নির্বাচন কমিশন, পর্যবেক্ষক ও জেলা নির্বাচন আধিকারিক তথা জেলাশাসকের কাছেও নালিশ জানিয়েছে। তাঁরা ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে।

সোমবার দুপুরে মালদহ দক্ষিণ ও উত্তরের কংগ্রেস প্রার্থী আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু) ও ইশা খান চৌধুরী দু’জনেই পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানান। তাঁদের অভিযোগ, রতুয়া বিধানসভা এলাকার একাধিক বুথে তৃণমূলের লোকজন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের ভোটার কার্ড ছিনিয়ে নিচ্ছে। ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে রতুয়া, কালিয়াচক, হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায়। তৃণমূল অবশ্য কংগ্রেসের অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। পুলিশ সুপার অজয় প্রসাদ জানিয়েছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।

রাত পোহালেই ভোট। তার আগে, সোমবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের অভিযোগ, রতুয়ার বাহারাল গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৮ নম্বর বুথ বলরামপুর আটগামা থেকে শুরু করে ৭৩, ৭৪, ৭৫, ৭৬, ৭৭ ও ৭৮ বুথ এলাকায় তৃণমূল-বাহিনী বাড়ি বাড়ি ঢুকে ভয় দেখিয়ে ভোটারদের ভোটার কার্ড নিয়ে নিচ্ছে। রতুয়ার কাহালা গ্রাম পঞ্চায়েতের ওপারেই ঝাড়খণ্ড। অভিযোগ, ঝাড়খণ্ড থেকে দুষ্কৃতীদের জড়ো করে কালাপানি-সাদাপানি গ্রাম ও লস্করপুর ঘাটের কাছে জড়ো করেছে তৃণমূল। ভোট চলাকালীন তাদের কাজে লাগিয়ে বুথ দখল করবে তৃণমূল। কংগ্রেসের আরও অভিযোগ, কালিয়াচকের নওদা যদুপুর, মোজমপুর, বামনগ্রাম মোসিমপুর, গয়েশবাড়ি, জালুয়াবাধাল, জালালপুর, সিলামপুর প্রভৃতি এলাকায় ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে। কংগ্রেসের দুই প্রার্থী ডালু ও ইশা দু’জনেরই অভিযোগ, শাসক দল রতুয়া, কালিয়াচক-সহ বিভিন্ন জায়গায় কোথাও ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে, কোথাও ভোটার কার্ড ছিনিয়ে নিচ্ছে। পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানানো হল।

জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলমের অভিযোগ, রতুয়ার চাঁদমণি ১ পঞ্চায়েতের ১৭৯ নম্বর বুথের কংগ্রেস কর্মী সাহাবুদ্দিনকে এ দিন সকালে অপহরণ করে তৃণমূলের লোকজন। পরে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে সাহাবুদ্দিনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সাহাবুদ্দিনকে তিনটি তাজা বোমা নিয়ে গ্রেফতার করা হয়।

সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্রের অভিযোগ, রতুয়া, বাহারাল, চাঁদমণি ২, কাহালা পঞ্চায়েতে তৃণমূল সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করেছে। ভোটারদের বাড়ি ঢুকে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি ভোটার কার্ড ছিনিয়ে নেওয়া চলছে। তিনি বলেন, “আমরা পুরো ঘটনা জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছি”।

তৃণমূলের ভারপ্রাপ্ত জেলা সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, “কংগ্রেস-সিপিএম বুঝে গিয়েছে, দু’টি আসনেই তাদের হার নিশ্চিত। তাই আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ভোটের বাজার গরম করতে চাইছে, মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে।”

Lok Sabha Election 2019 Violence CPM Malda Election Commission
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy