মহম্মদ সেলিম। —ফাইল চিত্র
চায়ের আড্ডায় প্রচার চালালেন রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী তথা সিপিএমের বিদায়ী সাংসদ মহম্মদ সেলিম। মঙ্গলবার সাত সকালে গোয়ালপোখরের লোধন বাস স্ট্যান্ডে হাজির হন তিনি। কর্মীদের নিয়ে একটি চায়ের দোকানে বসে পড়েন। ছিলেন জেলা সিপিএমের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তহিদুর রহমান ও পঙ্কজ সিংহ। সেলিম এ দিন বলেন, ‘‘চায়ের দোকানে আড্ডা বাঙালির পুরানো অভ্যাস। এখানে অনেক কিছু জানা যায়।’’
উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানির খাসতালুক। মঙ্গলবার সেখানে পাড়ায় পাড়ায় হাতে মাইক হাতে প্রচার করলেন প্রার্থী সেলিম। প্রথমে তিনি পৌঁছন গোয়ালপোখরের চান্দাভিটা গ্রামে। সেখানকার বাসিন্দা, ধোকরা শিল্পীরা নিজেদের অভাব-অভিযোগের কথা জানান প্রার্থীকে। প্রার্থী সেলিমও সেখানে বসে মুড়ি খেতে খেতে শিল্পীদের সমস্ত অভিযোগ শোনেন।
কখনও টোটোয় চেপে, কখনও পায়ে পায়ে হেঁটে এক পাড়া থেকে আর এক পাড়ায় প্রচার চালান সেলিম। গৃহস্থ বাড়ির উঠোনে কোথাও শ্রোতা ছিলেন ৫০ জন তো কোথাও ১০০ জন। তাঁদের সামনে প্রার্থী তুলে ধরছেন গত পাঁচ বছরের কাজের হিসেব। এর ফাঁকে কোথাও পাড়ার যুবকদের ক্যারাম খেলতেও নেসে পড়েছেন তিনি।
গোয়ালপোখরের ছোটপটনা গ্রামের এক বাসিন্দা আবুল কাদের জানালেন, কেরলে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন তিনি। বললেন, ‘‘সারা বছর কাজের সূত্রে ভিন্ রাজ্যে কাটাতে হয়। প্রার্থী নিজে এসে পরিচয় করলেন সকলের সঙ্গে। ভাল লাগল।’’ বেলা ২টো নাগাদ গদা গ্রামে বাড়ি বাড়ি ঘুরছিলেন সেলিম। ভোট চাইতে গিয়ে দলের এক কর্মীর বাড়িতে এক গ্লাস জল চাইলেন। তবে জল নয়, এই গরমে সেখানে মিলল লেবুর শরবত। পরে সেখানেই ডাল আর সবজি দিয়ে ভাত খেয়ে রওনা দিলেন গদা হাটে।
সেলিম এ দিন তাঁর প্রচারে দাবি করেন, ‘‘সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়াচ্ছে বিজেপি। এ দিকে তৃণমূল ছড়াচ্ছে দুর্নীতি।’’ এ দিন তিনি বলেন, ‘‘প্রচারে জয়ের ব্যপারে ভাল সাড়া পাচ্ছি।’’ দিনভর ১২টি গ্রামে প্রচার করেন তিনি। অবশ্য সেলিমের এই প্রচারকে গুরত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। মন্ত্রী গোলাম রব্বানি বলেন, ‘‘সেলিম কোনও ফ্যাক্টর নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy