সোমেন মিত্র। —ফাইল চিত্র।
মুর্শিদাবাদ ও রায়গঞ্জ কেন্দ্র দু’টি এ বার বামেদের ছাড়তে নারাজ প্রদেশ কংগ্রেস। কিছু দিন ধরে এই ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন দুই জেলা নেতৃত্ব। এবার সেই সুরই শোনা গেল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের গলাতেও। তাঁর বক্তব্য, ওই দু’টি আসনেই সিপিএমের ক্ষয়িষ্ণু অবস্থা। কংগ্রেসই পারে তৃণমূলের কাছ থেকে বাঁচিয়ে আসন দু’টি ধরে রাখতে।
গত লোকসভা নির্বাচনে এই দু’টি কেন্দ্রেই জিতেছিল সিপিএম। কিন্তু বেশ কয়েকদিন আগে উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস নেতা মোহিত সেনগুপ্ত ইঙ্গিত দেন, ওই দু’টি কেন্দ্রে তাঁদের প্রার্থীদেরই দাঁড় করানো হবে। এর দু’দিন পরেই তাদের পুরনো জয়ী প্রার্থীরাই দাঁড়াবেন বলে ঘোষণা করে দেয় সিপিএম। এবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিও দলীয় প্রার্থী দেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করলেন। এ দিন মালদহে রাহুল গাঁধীর সভার জন্য প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে এসে জেলার নেতাদের নিয়ে সভা করেন তিনি। পরে তিনি বলেন, “লোকসভা ভোটের ফলাফলেই স্পষ্ট হবে ওই দুই আসনে কংগ্রেস ক্ষয়িষ্ণু, নাকি সিপিএমের হাত মোটা হল।” তারপর তিনি বলেন, “যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার রাহুল গাঁধীই নেবেন। তবে বিজেপি ও তৃণমূলকে ঠেকাতে হলে বামেদের উচিত কংগ্রেসকে আসন দু’টি ছেড়ে দেওয়া। কারণ ওই দু’টি আসনে সিপিএম এখন ক্ষয়িষ্ণু দল। বামেরা একক ভাবে লড়াই করলে একটিও আসন পাবে না। তবে কংগ্রেস তাদের জেতা আসন ধরে রাখতে পারবে।”
এ দিন পুরাতন মালদহের গৌড় ভবনে জেলা নেতাদের নিয়ে বৈঠকে সোমেন বলেন, “আসন নিয়ে সমঝোতা নয়, প্রকাশ্যে জোট করতে হবে। আর সেই জোট লোকসভাতেই নয়, আগামী বিধানসভা পর্যন্ত বজায় রাখতে হবে।” তিনি বলেন, “আমরা বামেদের কাছে দয়ার দান চাইছি না। আমাদের নিজেদের অধিকার চাইছি।”
যদিও গত, শুক্রবার মালদহে দলীয় বৈঠকে যোগ দিয়ে কংগ্রেসের ভোট ব্যঙ্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রায়গঞ্জের সিপিএমের সাংসদ মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, “উত্তর দিনাজপুরে কংগ্রেসের দখলে থাকা চারটি পুরসভায় এখন তৃণমূলের দখলে। এছাড়া, রায়গঞ্জ শহর ছাড়া সর্বত্রই কমেছে কংগ্রেসের ভোট। এমনকি, দাড়িভিটের মতো এলাকায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে সভা করেছিল সিপিএমই।” যদিও কংগ্রেস সেখানে সভা করতে পারেনি বলে কটাক্ষ করেন সেলিম। এ বিষয়ে সোমেন বলেন, “মাত্র ১৬০০ ভোটের ব্যবধানে উনি জিতেছিলেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy